শ্যামলবাংলা ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকেও তিস্তা চুক্তি সই ও স্থল সীমান্ত চুক্তি কার্যকরে জোর চেষ্টা চালানোর কথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৯ ডিসেম্বর শুক্রবার নয়া দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে আবদুল হামিদের সঙ্গে এক বৈঠকে মোদী বলেছেন, ‘দ্রুত’ এ দুটো বিষয়ের ‘সমাধান’ করা সম্ভব হবে বলেই তিনি আশা করছেন।

ভারত সফররত আবদুল হামিদ দুপুরে হায়দ্রাবাদ হাউজে পৌঁছালে নরেন্দ্র মোদী তাকে স্বাগত জানান। দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা বৈঠক করেন তারা। বৈঠকের পর রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান।
আধ ঘণ্টা স্থায়ী এ বৈঠকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্ব ও তার ‘গুজরাট মডেল’-এর প্রশংসা করে বলেন, ‘আপনার নেতৃত্বে সারা ভারতের তরুণ প্রজন্ম একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলবে।’
বিদ্যুৎ খাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি এ ক্ষেত্রে বিশেষ করে নেপাল ও ভুটান থেকে বাংলাদেশের জলবিদ্যুৎ আমদানি প্রচেষ্টায় তার দেশের আরও সহযোগিতা কামনা করেন। জবাবে মোদি বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা জোরদারে ভারত প্রস্তুত রয়েছে।’
নিউ ইয়র্কে ও কাঠমান্ডুতে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে মোদি জানান, তারা সফল আলোচনা করেছেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের নজিরবিহীন সমর্থন ও সহায়তার কথা গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে উল্লেখ করেন। মোদি বলেন, দুই মহান মুক্তিযোদ্ধা জেনারেল জ্যাকব ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হতে পেরে আমি আনন্দিত।’
বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ভারতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, রাষ্ট্রপতির সিনিয়র সচিব আলতাফ আলী এবং রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক উপস্থিত ছিলেন। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার পঙ্কজ শরণ।
