ads

সোমবার , ২১ এপ্রিল ২০১৪ | ৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

কেশবপুরে বোরো ধান পাকতে শুরু করেছে : আশায় বুক বাঁধছেন কৃষকরা

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
এপ্রিল ২১, ২০১৪ ১২:০৫ অপরাহ্ণ

20-04-14শামসুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) : যশোরের কেশবপুর বোরো ধানের শীষের রং লালচে হতে শুরু করায় আশায় বুক বেঁধেছেন কৃষক। আর ক’দিন পর এ ধান উঠবে কৃষকের ঘরে। ফলে কৃষকরা বোরো ধান কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেই সাথে ধান মাড়াই করার জন্য উঠান তৈরীর কাজে ব্যস্ত এ উপজেলা কৃষণীরা । এ কাজে যোগ দিয়েছে বাড়ির শিশুরাও । গতকাল শনিবার কেশবপুর পৌর এলাকার আশপাশের গ্রামগুলোতে গিয়ে দেখা যায় এই দৃশ্য।

Shamol Bangla Ads

উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এ উপজেলায় বোরো ধান চাষের জন্য ১৫ হাজার ৫২৮ হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ধানের দাম ভালো থাকায় ও সময় মত সার, বীজ, কীটনাশক কৃষকের হাতের নাগালে থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪২০ হেক্টর বেশী জমিতে বোরো ধান রোপন করা হয়। যা গত বছরের চেয়ে ৫৭৫ হেক্টর বেশী। এর মধ্যে হাইব্রিড ৩ হাজার ৬৭০ হেক্টর এবং বাকী ১২ হাজার ২৭৫ হেক্টর জমিতে ব্রি-ধান ২৮ জাতের ধানের আবাদ করা হয়। সেচ কাজে ডিজেল চালিত মেশিন, বিদ্যুৎ চালিত মোটর ব্যবহবর হচ্ছে।
এলাকার কৃষকরা জানান মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকুলে ছিল। কুয়াশা ও মেঘলা আবহাও না থাকায় বীজতলায় ভালোভাবেই কৃষকরা চারা উৎপাদন করে। ক্ষেতে পোকার আক্রমন ছিল অন্যান্য বারের চেয়ে তুলনামূলক কম। কৃষকরা গুটি ইউরিয়া ও এনপিকে গুটি ব্যবহার করায় ক্ষেতে পরিচর্যাও কম করতে হয়েছে। এতে গত বছরের তুলনায় এ বছর ধানের উৎপাদন খরচ কম হবে বলে কৃষকরা মন্তব্য করেন। প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে এ বছর বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। কাঁস্তা গ্রামের কৃষক আঃ সাত্তার মোল্যা জানান, তিনি এ বছর ১০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। এ বছর ভালো বিদ্যুৎ পাওয়ায় সেচ সংকট দেখা দেয়নি। ইতোমধ্যে ধান লালচে বর্ণ ধারন করেছে। আর ক’দিন গেলেই ধান কাটা শুরু হবে।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, বোরো মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকুলে ছিল। এ অঞ্চলের কৃষকরা ধান চাষে আধুনিক কলা কৌশল গ্রহন করে থাকে বলে কেশবপুরের চাহিদা মিটিয়ে অবশিষ্ট ধান দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানী করা সম্ভব বলে তিনি দাবি করেন।

কেশবপুরে শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস

যশোরের কেশবপুরে কৃষি উৎপাদনশীলতা উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণ প্রকল্পের (আপি) উদ্যোগে গুটি ইউরিয়া প্রয়োগ প্রযুক্তি বিষয়ক শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস শনিবার বিকেলে বুড়িহাটি মুক্তিযোদ্ধা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে.এম খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় কুমার দাস। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আপি প্রকল্পের যশোর,সাতক্ষীরাও খুলনা জেলার মাঠ সমন্বয়কারী বিমল কৃষ্ণ শিকদার। অন্যদের মধ্যে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসানুর রহমান, রুস্তম আলী, হাসানুজ্জামান, আলতাফ হোসেন, কৃষাণী নাছিমা বেগম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আপি প্রকল্পের মনিটরিং ফিল্ড অফিসার কৃষিবিদ তোফাজ্জল হোসেন। অনুষ্ঠানের ১ম পর্বে কৃষাণী নছিমা বেগমের ব্রি-ধান-২৮ জাতের শস্য কর্তন করে গুঁড়া ইউরিয়া প্রয়োগকৃত ক্ষেতে বিঘা প্রতি (৪২ শতক) ২৬ মন ও গুটি ইউরিয়া প্রয়োগকৃত ক্ষেতে ২৮ মন ধানের উৎপাদন রেকর্ড করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কৃষিবিদ সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, গুটি ইউরিয়া ব্যবহার করলে সার সাশ্রয়ী হয়। তাছাড়া এ অঞ্চলের কৃষকরা কৃষিতে আধুনিক কলা কৌশল গ্রহন করে বলে কেশবপুরের চাহিদা মিটিয়ে ধান খুলনা, বগুড়া, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানী হয়ে থাকে। দিন দিন কৃষি জমি কমে যাচ্ছে, তাই উৎপাদনের এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!