চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা : চুয়াডাপঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী রেলষ্টেশন’র সন্নিকটে সেনেরহুদা গোরস্থানের কাছে ১৮ দলের নাশকতা ঠেকাতে রেল লাইন পাহারা দেওয়ার সময় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের হাতে ৬ আনছার সদস্য রক্তাক্ত জখম হয়। ওই হামলার সাথে জড়িত সন্দেহে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার ভোর ৪ টা শনিবার ভোর ৪টা পর্যন্ত বিএনপি ও জামায়াতের ১৪ নেতা কর্মীকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো আব্দুল গণি (৫০) তার ছেলে রিপন (২৭), তাজমুল জোয়ার্দ্দার (৩২), খাইরুল ইসলাম (৩৮), মিজানুর রহমান (৪২), মনোয়ার হোসেন (৪৫), মোস্তফা (৪০), আলতাফ উদ্দিন (৫৫), নাসির উদ্দীন (৩৫), ফরজ আলী (৫৫), ফারুক (৩০), বকুল (২৮), ওসমান আলী (৫০) ও আজির বকস (৪৫)। জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার মশিউর রহমান জানান, গত ৮ ডিসেম্বর রাতে ১৮ দলের নাশকতা ঠেকাতে রেল লাইন পাহারা দিচ্ছিলেন আনছার ভিডিপি’র ৬ সদস্য। রাত ১ টার দিকে মুখোশ পরা সংঘবদ্ধ একদল দূর্বৃত্ত ধারালো দাঁ ও রেল লাইনের পাথর দিয়ে অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। এতে তারা রক্তাক্ত হয়ে মারাতœক আহত হয়। আহত আনছার সদস্যরা হলো, জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের পুত্র সৈকত আলী (৫০), মৃত আব্দুল বারীর ছেলে মঞ্জুর (৩০), আব্দুর রহমানের ছেলে আবু তাহের (২২), মৃত মলুক চাদের ছেলে আব্দুল মজিদ (৪৫), মৃত গাফফার আলীর ছেলে মুন্তাজ আলী (৫০) ও বাঁকা গ্রামের আহাম্মদ আলীর ছেলে আলী (৩৫)। এ বিষয়ে পর দিন ৯ ডিশেম্বর রেল ওয়ের পোড়াদহ জিআরপি থানায় অজ্ঞাত ৩০/৩৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের হয়। ওই মামলার সন্দেহ জনক আসামী তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শুক্রবার ভোর ৪ টা থেকে শনিবার ভোর ৪ টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এদেরকে আটক করে। আটককৃতদেরকে পোড়াদহ জিআরপি থানার ওই মামলায় চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়।
