ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী : রাজশাহী নগরীতে র্যাব-পুলিশের সঙ্গে ১৮ দলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে গুলিতে নগরীর বিনোদপুর, কাজলা ও ধরমপুর এলাকায় শিবিরের এক নেতা নিহত হয়েছে। বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত: অর্ধশতাধিক। ২৬ অক্টোবর শনিবার বিকেল ৫ টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে। এসময় রাসিকের কাউন্সিলর আশরাফ হোসেন বাচ্চুসহ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত: ২০ জন। নিহত শিবির কর্মী রাশেদুল ইসলাম রেন্টু (২৩) মতিহার থানার ডাঁশমারী এলাকার আমিনুল ইসলাম টুকুর ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সংঘর্ষ চলাকালে ১৮ দলের নেতাকর্মীদের ব্যাপক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ওইসময় র্যাব ও পুলিশ শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট, টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষের সময় ছাত্রশিবিরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ড শাখার অর্থ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, মতিহার থানার ওসি এসএম আব্দুস সোবহান, সিটি কর্পোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম বাচ্চু, মতিহার থানা ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল ও সহ-সভাপতি চঞ্চলসহ অন্তত: ৫০ জন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় রাসেদুলকে নওদাপাড়া ইসলামি ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তারা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের তথ্য সম্পাদক জিয়াউদ্দিন বাবলু বলেন, র্যাব -পুলিশের গুলিতে রাশেদুল মারা যায়। এসময় তাদের আরও ২০ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। অপরদিকে, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন বলেন, ১৮ দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ বিনা উস্কানিতে হামলা ও গুলিবর্ষণ করেছে। এতে ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, শিবিরের আক্রমনে আক্রান্ত হওয়ার পর পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ছোররা গুলি ছুঁড়েছে। ছোররা গুলিতে কেউ মারা যাওয়ার কথা নয়। তবে, রাশেদুল কার গুলিতে মারা গেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান। এদিকে র্যাব, ও পুলিশের সাথে সংঘর্ষে ছাত্রশিবির নেতা রাশেদুল ইসলাম রেন্টু নিহতের প্রতিবাদে রাজশাহী নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও গাড়ি ভাংচুর করেছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল থেকে গাড়ি ভাংচুর ও পুলিশের সাথে সংঘর্ষেও জড়ায় তারা।