ads

মঙ্গলবার , ১৫ অক্টোবর ২০১৩ | ৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

সৌদির সাথে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদ উদযাপন

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
অক্টোবর ১৫, ২০১৩ ৩:৫৩ অপরাহ্ণ

Chandpur+Sadra+Advance+Eid+Namazশ্যামলবাংলা ডেস্ক : প্রতি বছরের মতো এবারো সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগাম ঈদ উদযাপন করছেন মুন্সীগঞ্জ, চাঁদপুর, পটুয়াখালী, শরীয়তপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শেরপুর, মৌলভীবাজার, দিনাজপুরসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলার লাখো মুসলমান। ওইসব এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই ঈদসহ অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে পালন করে আসছেন।
মঙ্গলবার ঈদুল আজহা বা কুরবানির ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার পর দেশের ১১ জেলার ১শ’র বেশি গ্রামে পশু কোরবানি দেয়া হয়। এর আগে ওইসব অঞ্চলের মুসল্লিরা একদিন আগেই ঈদুল ফিতরের রোজা ও ঈদের অনুষ্ঠানিকতা পালন করেছিলেন। খবর শ্যামলবাংলার প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো।

Shamol Bangla Ads

চাঁদপুরে ৫০ গ্রামে ঈদ

Shamol Bangla Ads

চাঁদপুরের ৫টি উপজেলার ৫০ গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের বর্তমান পীর আবু জোফার মো. আবদুল হাই জানান, আরব বিশ্বের সাঙ্গে মিল রেখে তারা ঈদসহ ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালন করেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় সাদ্রা হামিদিয়া ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। যেসব গ্রামে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে: হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলীপুর, বলাখাল, মনিহার, ভোলাচোঁ, জাক্নি, সোনাচোঁ, প্রতাপপুর, বাসারা; ফরিদগঞ্জ উপজেলার উভারামপুর, উট্তলী, মুন্সিরহাঁট, মূলপাড়া, বদরপর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচর, বালুথুবা, কাইতাপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, ষোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর; মতলবের দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং শাহরাস্তি ও কচুয়ার কটি গ্রাম।

শরীয়তপুরে ৩০ গ্রামে ঈদ

শরীয়তপুরের সুরেশ্বর পীরের অনুসারীরা শরীয়তপুর জেলার ৪ উপজেলার ৩০টি গ্রামে আগাম ঈদুল আজহা পালন করছেন। মঙ্গলবার অন্তত: ১০ হাজার ভক্ত এ ঈদের নামাজে অংশ নেয় বলে জানা গেছে।  সুরেশ্বর পীরের মুরিদ আবদুর আলিম চৌকিদার জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রায় ১শ’ বছর  দরবারের সব ভক্ত ও তাদের মুরিদানেরা একই নিয়মে ঈদ উৎসব পালন করে।  নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর, চন্ডিপুর, ইছাপাশা, ঘড়িষার, কদমতলী, বালাখানা, নশাসন, ভুমখারা, ভোজেশ্বর, জাজিরা উপজেলার কালাইখার কান্দি, মাদবর কান্দি, সদর উপজেলার বাঘিয়া, কোটাপাড়া, বালাখানা, প্রেমতলা, ডোমসার, শৌলপাড়া, ভেদরগঞ্জ উপজেলার লাকার্তা, পাপরাইল ও চরাঞ্চলের ১০টি গ্রামসহ প্রায় ৩০টি গ্রামের অন্তত এক হাজার পরিবারে ১০ হাজারেরও বেশি নারী-পুরুষ আগাম ঈদে অংশ নেয়।

মুন্সীগঞ্জের ৭ গ্রামে ঈদ

আগাম ঈদে অংশ নিয়েছে মুন্সীগঞ্জের সাতটি গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মুসলিম বাসিন্দা। সকালে গ্রামগুলোতে পৃথক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। গ্রামগুলো হচ্ছে- সদর উপজেলার আনন্দপুর, শিলই, নায়েবকান্দি, আধারা, মিজিকান্দি, কালিরচর ও বাঘাইকান্দির একাংশ।

ভোলার ১৪ গ্রামে ঈদ

ভোলার চার উপজেলার ১৪টি গ্রামে প্রায় ১০ হাজার মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে মঙ্গলবার  ঈদুল আজহা উদযাপন করছে।  এ অঞ্চলে বসবাসরত সুরেশ্বর দরবারের পীরের অনুসারি ও সাতকানিয়া পীরের অনুসারীরা আগাম ঈদ উদযাপন করে থাকে।  জেলার বোরহানউদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন ও তজুমদ্দিন উপজেলার ১৪ গ্রামে মানুষ এ ঈদ পালন করছে।  সকাল সাড়ে ৮টায় বোরহানউদ্দিনের মুলাইপত্তন গ্রামের মজনু মিয়ার বাড়ির দরজায়  ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কয়েক শ’ মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন। এছাড়াও পর্যায়ক্রমে চৌকিদার বাড়ি, পঞ্চায়েত বাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

চট্টগ্রামে আগাম ঈদ পালন :

সকালে ঈদের নামাজ শেষে পশু কোরবানি দেন তারা। একই নিয়মে দেশের বিভিন্ন জেলার শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মুসল্লি ঈদ উদযাপন করেন।  চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের মির্জাখীল শাহ জাহাগির (র.) দরবার শরিফের অনুসারীরা তাদের পূর্ব রীতি অনুযায়ী একদিন আগেই ঈদ পালন করেন।  অপরদিকে জেলার বোয়ালখালী, আনোয়ারা, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, পটিয়া উপজেলা আগাম ঈদ অনুষ্ঠিত হয়।  সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মির্জাখীল দরবার শরিফে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। ঈদ জামাতে সাতকানিয়া ছাড়াও দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লোকজন অংশ নেয়। সাতকানিয়ার মির্জাখীল, চরতী, সুইপুরা, গাটিয়া ডেঙ্গা, চন্দনাইশের হারলা, কাঞ্চননগর, বাদামতল, পশ্চিম এলাহাবাদ, বাইনজুরি, হারলা, কেশুয়া, কানাইমাদারী, সাতবাড়িয়া, দোহাজারি, বরকল, বাঁশখালির চাম্বল, কালিপুর, শেখের খীল, ভাদালিয়া, হাছনদন্ডী, চর বরমা, আলি নগর, পটিয়ার বাহুলী, পারিগ্রাম মোল্লা পাড়া, আলমদার পাড়া, হাইদগাঁও, আনোয়ারার বরুম ছড়া, তৈলার দ্বীপসহ আরো কিছু গ্রামে আগাম ঈদ হয় বলে জানান তিনি।

কক্সবাজারে ঈদ পালন :

কক্সবাজার জেলার চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী, হ্নীলা, কুতুবদিয়া, আলিকদম ও সীতাকুন্ডের মাহমুদাবাদ এলাকায় ও দরবার শরীফের অনুসারী রয়েছেন। তারাও একদিন আগেই ঈদ পালন করছেন।

শেরপুরের  ৩টি গ্রামে আগাম ঈদ

শেরপুর সদর উপজেলার চরখারচর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়া এবং নালিতাবাড়ি উপজেলার নন্নী মধ্যপাড়া এই ৩টি গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। এই ৩ গ্রামের মধ্যে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় চরখারচর পশ্চিমপাড়া গ্রামের সুরেশ্বর পীরের অনুসারীদের ঈদগাহ মাঠে। এখানে জামাত শেষে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত  হয়।

মৌলভীবাজারে
মোঃ খালেদ পারভেজ বখ্শ,মৌলভীবাজার : সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে মৌলভীবাজারে ঈদ উল আযহার নামাজ পড়লেন অর্ধ-শতাধিক মুসল্লী। ঈদের জামাতে ইমামতি করেন আলহাজ্ব আব্দুল মাওফিক চৌধুরী (পীর সাহেব উজান্ডি)। ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ৭টায় মৌলভীবাজার শহরের সার্কিট হাউস এলাকার একটি বাসার ছাদে ঈদ উল আযহার এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মৌলভীবাজার সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত প্রায় অর্ধ-শতাধিক মুসলল্লী জামাতে অংশ নেয়। নামায শেষে ২টি গরু ও একটি ছাগল কোরবানী দেওয়া হয়। এদিকে জেলার কুলাউড়া, বড়লেখা ও শ্রীমঙ্গলেও সহ¯্রাধিক মুসল্লী মঙ্গলবার সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপনের খবর পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, কয়েক বছর ধরে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে মৌলভীবাজারের বিভিন্নস্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!