এমএ ছালাম, মহাদেবপুর (নওগাঁ) : রোপাআমনের ক্ষতিকারক পোকামাকড় নিধনে নওগাঁর মহাদেবপুরের কৃষকরা কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে এক মৌসুমে প্রায় ১৬ কোটি টাকা সাশ্রয় করছেন। চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের ক্ষতিকারক পোকামাকড় নিধনে কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে কৃষকরা ক্ষেতে পার্চিং হিসেবে জীবন্ত ধঞ্চে গাছ, কঞ্চি ও ডালপালা ব্যবহার করছেন। ধানের ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমনে প্রতি বিঘা জমিতে কীটনাশক বাবদ কৃষক প্রায় ১ হাজার টাকা ব্যয় করেন। কিন্তু পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রতি বিঘা জমিতে কৃষক ১ হাজার টাকা সাশ্রয় করতে পারছেন। পোকামাকড় নিধনে কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে জমিগুলোও থাকছে নিরাপদ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের পর ব্যাপক সফলতা আসায় ধান ক্ষেতে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারে ঝুঁকে পড়েছেন উপজেলার কৃষকরা। ধান ক্ষেতের শত্র“ কারেন্ট, মাজরা, গান্ধি, ও চুঙ্গি পোকাসহ বাদামী ঘাস ফড়িং নিধনে এখানে চাষাবাদকৃত জমির ৮০ ভাগই উপরোক্ত পদ্ধতির আওতায় আনা হয়েছে বলে জানান উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার আবু তাহের মন্ডল। তিনি বলেন, উপজেলায় এবার চাষাবাদকৃত ২৭ হাজার ৫৫ হেক্টর জমির ৮০ ভাগকে পার্চিং পদ্ধতির আওতায় আনাসহ অন্যান্য জমিগুলোতে নিয়মিত পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে পোকামাকড়ের মারাত্মক আক্রমণের হাত থেকে রোপাআমনের ক্ষেতগুলোকে নিরাপদ রাখা হয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আব্দুল মোমিন জানান, প্রতিটি জীবন্ত গাছ এবং ডালপালা পার্চিং করে আশপাশের ১৫ বিঘা করে জমির ধান ক্ষতিকারক পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে বাঁচানো সম্ভব। গাছ ও ডালপালা পার্চিংয়ে পাখি বসে ক্ষতিকারক পোকামাকড় খেয়ে ফেলে। এনায়েতপুর এলাকার কৃষক আ. সালাম, আসাদুজ্জামান চৌধুরী, মাহবুব আলম, বাচ্চু মিয়া ও আইউব হোসেন জানান, ধান ক্ষেতের ক্ষতিকারক পোকা দমনে এবার পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করে বেশ ভাল ফল পাচ্ছেন তারা।
