শ্যামলবাংলা ডেস্ক : সিলেটে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সমাবেশে ছাত্রলীগের হামলায় সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও বাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামানসহ অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছে। এ হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল সিলেটে আধাবেলা হরতাল আহ্বান করেছে দল দু’টি।

১৫ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেলে কোর্ট পয়েন্টে সিপিবি-বাসদের বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হওয়ার পর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মঞ্চে হামলা করে। তারা মঞ্চ ভাঙচুর করে ব্যানার নিয়ে যায়। এ সময় সিপিবি সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান ও ওসিসহ আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশত। হামলাকারী ছাত্রলীগ কর্মীদের ছত্র ভঙ্গ করতে পুলিশ অন্তত: ১০ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ও ৮ রাউন্ড টিয়ার শেল নিপে করেছে।
জানাযায়, বিকেল ৪টা থেকে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জনসভা আয়োজনের ল্েয বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) নগরীর কোর্ট পয়েন্টে অবস্থান নেয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সিপিবি’র সিলেট জেলা সভাপতি এডভোকেট বেদানন্দ ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে জনসভার কার্যক্রম শুরু হয়। জনসভায় সিপিবি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, কেন্দ্রীয় নেতা খালেকুজ্জামানসহ বেশ কয়েক জন কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন। বিকেল ৫টার দিকে নগরীর জিন্দাবাজার থেকে ছাত্রলীগের একটি মিছিল কোর্ট পয়েন্ট অতিক্রম করে বন্দরবাজারে জেলা পরিষদ মিলনায়তনের দিকে যাবার চেষ্টা করে। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিলেট আগমণকে স্বাগত জানিয়ে বের করা ঐ মিছিলটি এ সময় কোর্ট পয়েন্টের কাছে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশ মিছিলকারীদের কোর্ট পয়েন্টের দিকে না গিয়ে হকার্স পয়েন্ট অভিমুখ হয়ে যাবার অনুরোধ জানায়। এতে পুলিশের সাথে মিছিলকারী ছাত্রলীগ কর্মীদের বাদানুবাদ বাধে। এক পর্যায়ে মিছিলকারীরা সিপিবি’র সমাবেশে হামলা চালায়। তারা মঞ্চের সামনে রাখা চেয়ার ও মঞ্চ ভাংচুর শুরু করে।
পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সিটি কর্পোরেশনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে সুরমা পয়েন্টের দিকে তাড়া করে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় । এদিকে
ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে বিকেল সাড়ে ৫টায় মঞ্চ থেকে সোমবার সিলেটে আধাবেলা হরতালের ঘোষণা দেয়া হয়।
