স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুরে এক ছাত্রদল নেতাকে গ্রেফতারের জের ধরে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের পুলিশ অ্যাসল্ট ও গাড়ী ভাংচুরের ঘটনায় ১৭ আগস্ট শনিবার জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক আশীষ, শেরপুর সদর আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী শিল্পপতি আলহাজ্ব মোঃ হযরত আলী ও আটক ২ ছাত্রদল নেতাসহ ১৩২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা ও অ্যাসল্ট এবং দ্রুত বিচার আইনের পৃথক দুটি মামলারই বাদী হয়েছেন সদর থানার এসআই মনিরুল আলম ভূঁইয়া। মামলা দুটিতে স্বনামে ৭২ জন ও অজ্ঞাত ৫০/৬০ জন নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হচ্ছেন, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক আশীষ, শেরপুর সদর আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী শিল্পপতি আলহাজ্ব মোঃ হযরত আলী, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল আওয়াল চৌধুরী ও হাতেম আলী চেয়ারম্যান, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মান্নান, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নুরে আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক লালন মোল্লা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবু রায়হান রূপম ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম। ওই মামলার কারণে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা শুক্রবার রাত থেকেই গাঁ ঢাকা দিয়েছেন।
এদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যায় ৬ নেতাকর্মীকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৪ জনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। মিরাজউদ্দিন ও বিপিন তালুকদার নামে অপর ২ ছাত্রদল নেতাকে পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দ্রুত বিচার আইনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রিয়াদ হোসেন ৭দিন এবং পুলিশ অ্যাসল্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বন্দে আলী ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের গৃর্দানারায়নপুর এলাকা থেকে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও একাধিক মামলার পলাতক রবিউল ইসলাম রাসেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই গ্রেফতারের প্রতিবাদে দলীয় নেতাকর্মীরা রঘুনাথবাজারস্থ জেলা বিএনপির অফিসের সম্মুখে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। একপর্যায়ে তারা রাস্তায় নেমে চলাচলকারী ৬টি গাড়ী ভাংচুর করে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের ধাওয়া করলে তারা পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে কর্তব্যরত এসআই মনিরুল আলম ভূঁইয়া, কনস্টেবল মোজাম্মেল হক, আব্দুস সাত্তার ও ফনিভূষণ রায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ ও ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল করিম শুক্রবার সন্ধ্যায় ৩ মামলার পলাতক আসামী ছাত্রদল নেতা রাসেলকে গ্রেফতারের পর বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের গাড়ী ভাংচুর, ত্রাস সৃষ্টি এবং কর্তব্যকাজে বাধাসহ পুলিশ অ্যাসল্টের ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা রুজুর সত্যতা স্বীকার করে শ্যামলবাংলাকে বলেন, ওই ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে জড়িত থাকায় বিএনপির কতিপয় নেতাকে আসামী করা হয়েছে।
