ইয়ানুর রহমান, যশোর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের শাহাদত বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ২০০৬ এর ১৫ আগষ্ট সকালে জোট সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনীর তান্ডবলীলার কথা যশোরের শার্শার মানুষ আজো ভোলেনি। সেই ভয়াল দিনের কথা স্মরণ করে তারা আজও ডুকরে কেঁদে উঠে, ফেলে দীর্ঘনিঃশ্বাস।
সেই দিনের তান্ডবের কথা এখনো আওয়ামী নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারন মানুষদের বলতে শোনা যায়। সেদিন প্রশাসনের সামনে প্রকাশ্যে জোট সমর্থক সন্ত্রাসীরা নগ্ন হামলায় যশোর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিনকে হত্যা প্রচেষ্টা চালানো হয়। ওই সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় রক্তাক্ত হয় শতাধিক নেতাকর্মী। সেই সাথে তারা হামলা চালিয়ে শোক মঞ্চ, খাদ্য সামগ্রী লন্ডভন্ড করে দেয়। কেবল তাই নয়, ওইদিন বিকেলে সন্ত্রাসীরা আবার ফিরে গিয়ে আলামত নষ্ট করার উদ্দেশ্যে ৮টি পুড়া মটর সাইকেলসহ শোক মঞ্চের পুড়ে যাওয়া সামগ্রী ঘটনাস্থল হতে সরিয়ে ফেলে। ওই সময় শার্শা থানা পুলিশসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। পরবর্তীতে ঘটনার নায়কসহ জোট সমর্থকদের রক্ষায় মামলা ঠেকাতে তৎকালীন উল্টো শার্শা থানা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নামে মামলা দেয়। আর ওই মামলায় আসামি করা হয় সন্ত্রাসীদের হাতে আহত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের। এরপর আদালতে আওয়ামী লীগ নেতারা মামলা করলেও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদরুল আলম তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করেন এ ধরনের কোন ঘটনা শার্শায় ঘটেনি। কিন্তু সেই সন্ত্রাসী হামলার আজও সুবিচার না হওয়ায় শার্শার মানুষ হতভম্ব।
আজও সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি শার্শার মানুষ বুকে ধরে কেঁদে চলেছে। ২০০৬ সালের পর থেকে আগস্ট মাস এলেই ওই ঘটনাকে স্মরণ করে শার্শার তাদের অনেককেই কাঁদতে দেখা যায়।
