শ্যামলবাংলা ডেস্ক : প্রমত্তা যমুনার অব্যাহত ভাঙনে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে দুই বছরে শতশত পরিবার বসতবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। নদীর সঙ্গে যুদ্ধ করে বসবাস করছে ভাঙ্গনকবলিত মানুষ। ঘরবাড়ি হারিয়ে যাযাবর জীবনযাপন করছে ওইসব ঘর হারা মানুষ। অব্যাহতভাবে ভাঙ্গনের ফলে নতুন করে একটি নৌপুলিশ ফাঁড়ি, ২টি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ২টি হাইস্কুল, ৫টি প্রাইমারি, ২টি মাদ্রাসা, ৫টি কিন্ডারগার্টেন, ১০টি পোল্ট্রি খামার, ৫টি মসজিদ, ৪টি মন্দির ও ২টি বাজারসহ প্রায় ১০ গ্রামের হাজার হাজার পরিবার হুমকির মুখে পড়েছে। অথচ ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে অদ্যাবধি কোন উদ্যোগই নেয়া হয়নি। ভয়াবহ ভাঙ্গনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কোনাবাড়ী-খানুরবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। গত বছরেই দুই কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নদীতে চলে গেছে। অথচ অদৃশ্য কারণে স্থানীয় প্রশাসন ও টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড নীরব ভূমিকা পালন করছে। অন্যদিকে স্থানীয় এমপি খন্দকার আসাদুজ্জামান ২০১১ সালে উপজেলার খানুরবাড়ী ভাঙ্গন পরিদর্শনে এসে পিংনা থেকে যোগারচর পর্যন্ত গাইডবাঁধ নির্মাণে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও তার কোন বাস্তবায়ন হয়নি। গোবিন্দাসী ইউনিয়নের পরিষদের সদস্য আসাদুজ্জামান শিকদার বলেন, গত দুই বছরে ভাঙ্গনে মানচিত্র থেকে খানুরবাড়ী গ্রাম নদীতে চলে গেছে। নতুন করে ভাঙ্গনের মুখে বাড়িঘর হারানোর আশঙ্কায় রয়েছেন ভালকুটিয়া, কষ্টাপাড়া, চরচিতুলিয়া, কোনাবাড়ী গ্রামের শত শত পরিবার।
