সুইজারল্যান্ডে যত শহর আছে তার মধ্যে জেনেভাতেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ট্যুরিস্ট ভিড় করে। জেনেভা শহরের সব রাস্তা হাজার হাজার ইলেকট্রিক আলো দিয়ে সাজানো। দিনরাত যেন আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। নানারকম ফুল দিয়ে সাজানো বাগান। সুন্দর ফুল দিয়ে ১২ ফুটের ঘড়িটি সাজানো। সেটা সময়ও দিচ্ছে ঠিক ঠিক। জেনেভা শহর ঘড়ির জন্য জগদ্বিখ্যাত। নামকরা সব ঘড়ির কোম্পানি এখানেই। ট্যুরিস্টরা ভালো ঘড়ি কম মূল্যে পাবে ভেবে লাখ লাখ টাকা খরচ করে। সুইশ লোকেরা ঘড়ির খুব সূক্ষ্ম কাজ ভালোভাবে করতে পারে। সুইজারল্যান্ডে ছেলেমেয়েদের ইংরেজি এবং আরও তিনটি ভাষা শিখতে হয়। উত্তরে জার্মানি, জুরিখ শহর, দক্ষিণে ইতালি এবং পশ্চিমে ফ্রান্স। তাই প্রকৃতপক্ষে এদের তিনটি ভাষা জানা খুব প্রয়োজনীয়। জেনেভাতে দর্শনীয় অনেক জিনিস আছে, এর মধ্যে অন্যতম লিগ অব নেশন্স ভবন। এখানেই রেডক্রস ও ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের কার্যালয়। এ শহরে ফরাসি কালচারের আধিক্য বেশি। দৈনন্দিন জীবন-যাপন ফরাসি ধাঁচের। ফুটপাত জুড়ে আকাশের নিচে রেস্তোরাঁর ছড়াছড়ি। আসলেই সুইজারল্যান্ড দেশটি ট্যুরিস্টদের স্বর্গ। উঁচু উঁচু পাহাড়, জলাশয় আর গাছপালা মিলে সুন্দর দেখায় শহরটিকে। চারদিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, তা শহরেই হোক বা গ্রামাঞ্চলেই হোক।
এ সুন্দর দেশে ছুটিতে দলে দলে ট্যুরিস্ট আসে। হোটেল ব্যবসা উন্নতমানের। এটা এদের জাতব্যবসা বললে অত্যুক্তি হবে না। এ দেশের সব ছেলেমেয়ে হোটেল শিক্ষানবিশী করে তা তারা যত বড়লোকের ঘরের হোক না কেন। সুইশ ইঞ্জিনিয়ার, চিকিৎসক ও হোটেল রক্ষকের জগৎজোড়া সুখ্যাতি। চাষাবাদ করার জন্য এ দেশের কৃষকরা ধান বীজ নিয়ে আকাশের দিকে বৃষ্টির আশায় চেয়ে থাকে না। বরফে ছ’মাস মাটি সরস রাখে, তাছাড়া পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টি লেগেই আছে। সুইজারল্যান্ডের লোকরা পরিশ্রমী এবং উন্নয়নকামী। সুইজারল্যান্ডের জেনেভার লেকের ওপারে ফ্রান্স। দুটো ভিন্ন দেশ হলেও যাতায়াতের কোনো বাধা নেই। পাসপোর্ট, ভিসা ইত্যাদি
কিছুই নেই।
