Picture
নির্ধারিত নির্বাহী কমিটির পরিবর্তে গত গ ১৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকেলে পুলিশ পাহারায় দলীয় কার্যালয়ের তালা ভেঙ্গে অলোচনা সভা করেছে ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সমর্থিত অংশটি। আর সা: সম্পাদক সমর্থিত অংশটি সভা বর্জন করে বলেছে, কথিত শিল্পপতির টাকায় ফটিকছড়ি বিএনপি’র তিন নেতাই সভাটি করেছে।জানা গেছে,
গতকালের পূর্বনির্ধারিত সভাকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব ছালাউদ্দিন এবং অব্যাহতি প্রাপ্ত সা: সম্পাদক শাহজাদা সৈয়দ ওমর ফারুখের মধ্যে ব্যাপক টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় গত বুধবার রাতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএওনপি’র সভাপতি গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী এক আদেশে নির্বাহী কমিটির সভাটি স্থগিত করে দেন।
কিন্তু তার আগেই ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপি’র দ্বিধাবিভক্ত দুটি অংশ দলীয় কার্যালয়ের কর্তৃত্ব ধরে রাখতে লড়াইয়ে নেমে পড়েন এবং একবাধিক তালা মেরে দেন কার্যালয়ের ফটকে। আর তাই গতকাল বিকেলে সভাপতি সমর্থিত অংশটি পুলিশ পাহারায় তালা ভেঙ্গে দলীয় কার্যালয়ে নির্বাহী কমিটির সভার পরিবর্তে একটি সাধারণ আলোচনা সভা করেন।

উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব ছালাউদ্দিন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি’র অর্থ বিষয়ক সম্পাদক- শিল্পপতি সরওয়ার আলমগীর, প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
সভাটির বিষয়ে আলহাজ্ব ছালাউদ্দিন দাবী করেন, নির্বাহী কমিটির সভা স্থগিত হওয়ায় আমরা দলীয় সাংসদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী’র কারাবন্দীত্বের একবছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রতিবাদ সভা করেছি।

এব্যাপারে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি কর্তৃক অব্যাহতি প্রাপ্ত সা:সম্পাদক শাহজাদা সৈয়দ ওমর ফারুখ দাবী করেন, এটি উপজেলা বিএনপির পূর্নাঙ্গ কোন বৈঠক নয়। কথিত শিল্পপতির টাকায় শুধুমাত্র তিন নেতার সভা।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে ফটিকছড়ি বিএনপির সভাপতি এবং সা: সম্পাদকের মধ্যে তীব্র কোন্দল বিরাজ করে আসছে। এরি অংশ হিসেবে সভাপতি একক সিদ্ধান্তে সা: সম্পাদককে তাঁর (ফারুখ) পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি হাবিবুল্লাহ বেলালকে ভারপ্রাপ্ত সা: সম্পাদক মনোনয়ন দেন। মুলত: এরপর থেকেই ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপিতে কোন্দল আনুষ্ঠানিক রুপ নেয়।
