ইসরায়েলি বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে জাহাজগুলো গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। গাজামুখী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার যেসব জাহাজ এখনো ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক হয়নি, সেগুলো ফিলিস্তিনি ছিটমহলটির উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনো ফ্লোটিলার কিছু নৌযান গাজা উপকূল থেকে ৫০–৬০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, এখনো অন্তত ২৬টি জাহাজ যাত্রাপথে রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি জাহাজ গাজার উপকূল থেকে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে বলে দেখা গেছে।

এর আগে, গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে যাওয়া গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলাকে ভূমধ্যসাগরের উপকূলের কাছে ঠেকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। তবে, ফ্লোটিলার মুখপাত্র জানিয়েছেন, এখনো যাত্রা চলমান। এরইমধ্যে, ইসরায়েলি নৌবাহিনী গাজামুখী আন্তর্জাতিক সহায়তা বহর থেকে অন্তত ২০০ কর্মীকে আটক করেছে। এদের মধ্যে সুইডিশ পরিবেশকর্মী ও জলবায়ু আন্দোলনের পরিচিত মুখ গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন।
সরায়েলি অবরোধ ভেঙে গাজা উপকূলে সহায়তা পৌঁছে দেওয়া ও ইসরায়েলের নৌ–অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করতে ৪০টির বেশি নৌযানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শত শত কর্মী ভ্রমণ করছেন। তবে ইসরায়েল এর আগেও এমন একটি ফ্লোটিলার আয়োজন ভেস্তে দিয়েছিল। এবারের যাত্রাও ভেস্তে দেওয়ার প্রচেষ্টা কম করেনি দেশটি।
বহরে থাকা আল–জাজিরার এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ইসরায়েলি নৌবাহিনী বহরের জাহাজগুলোতে তাদের যুদ্ধজাহাজ থেকে জলকামান ছুড়েছে, জাহাজগুলোর যোগাযোগব্যবস্থা অচল করে দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক জলসীমা দিয়ে গাজামুখী জাহাজে থাকা কর্মীদের আটক করেছে।

