শ্যামলবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে খুলনা-কলকাতা রুটে বন্ধন এক্সপ্রেসের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন। পাশাপাশি উদ্বোধন করা হয় ঢাকা-কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী ট্রেনের ওয়ানস্টপ সার্ভিসও। ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১২টার দিকে ঢাকায় শেখ হাসিনা ও দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদি নিজ নিজ কার্যালয় থেকে উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কলকাতা থেকে যুক্ত হন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওই দুটি ট্রেন চালুর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ হয়েছে। আন্তর্জাতিক টর্মিনাল ঢাকা-কলকাতা ও খুলনা-কলকাতার যাত্রীদের সাফল্য কামনা করছি। আজ দুই দেশের মধ্যে নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো।’
এর আগে সকালে সিলেট ও চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকার রেলযোগাযোগে নির্মাণ করা দ্বিতীয় ভৈরব, দ্বিতীয় তিতাস সেতু ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন দুই প্রধানমন্ত্রী।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার থেকে খুলনা-কলকাতা রুটে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে বন্ধন এক্সপ্রেস। আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে নিয়মিত শিডিউলে ট্রেনটি চলাচল করবে। এতে আসন সংখ্যা ১৫৬টি। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বার্থের ভাড়া হবে এক হাজার ৫০০ টাকা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আসনের ভাড়া এক হাজার টাকা। বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে বন্ধন এক্সপ্রেস খুলনা থেকে কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা করবে। যশোরের বেনাপোল অতিক্রম করবে দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে। কলকাতায় পৌঁছবে ভারত সময় সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে। কলকাতা থেকে ভারত সময় সকাল ৭টা ১০ মিনিটে যাত্রা করে খুলনায় পৌঁছাবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে।
বন্ধন এক্সপ্রেস চালুর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৫২ বছর পর খুলনা ও কলকাতার মধ্যে আবার চালু হলো যাত্রীবাহী ট্রেন। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর এই ট্রেনটি বন্ধ হয়ে যায়। গত ৮ এপ্রিল পরীক্ষামূলকভাবে এই যাত্রীবাহী ট্রেনটি কলকাতা-খুলনা রেলপথে চালানো হয়।