ads

বৃহস্পতিবার , ১৪ এপ্রিল ২০১৬ | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

স্বাগতম নববর্ষ : ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
এপ্রিল ১৪, ২০১৬ ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ

Editorial-2উৎসব প্রিয় বাঙালির আটপৌঢ়ে জীবনে নববর্ষ বারবার, ঘুরেঘুরে আসে নতুন নতুন বারতা নিয়ে। এবারও নতুন বারতা নিয়ে নববর্ষ আমাদের দোরগোড়ায়। পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ। নববর্ষ বাংলার উৎসব, বাঙালির উৎসব। বাংলার বার মাসে তের পার্বণ, তার সবচেয়ে বড় আয়োজনও হয় নজরকাড়া। বৈশাখ উদযাপনের আগে থেকে ঢিঁ ঢিঁ পড়ে যায়। নববর্ষ উদযাপনের আমেজ চারদিকে। বিশেষ করে বাংলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত প্রস্তুতিতে মুখর। সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বাংলার কৃষ্টি, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির সংমিশ্রণে নববর্ষ উদযাপনে প্রতিবারই ভিন্ন থেকে ভিন্নতর আয়োজনে ব্যস্ত থাকে। নজরকাড়া রকমারি আয়োজনে কে কার চেয়ে এগিয়ে থাকবে ভিন্নতার নতুন মাত্রা যোগ করবে তার একটি প্রতিযোগিতা চলে সবার অল্েয। উৎসবের অন্যতম আর্কষণ থাকে মঙ্গল শোভাযাত্রা। এতো গেল উৎসব উদযাপন পর্বের কথা।
উৎসবপ্রিয় বাঙালির জীবনে নববর্ষ উদযাপনে এই যে ব্যাপকতা তা বেশিদিনের নয়। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আগে আলাদা আলাদাভাবে বর্ষবিদায় ও নববর্ষ উদযাপিত হলেও নববর্ষ উদযাপন এখন সার্বজনীন উৎসব হয়ে উঠেছে। আমাদের হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের মেলবন্ধন হয়ে উঠেছে এখন নববর্ষ। ব্যবসায়ীরা নতুন খাতা খোলেন। গ্রাম-বাংলায় এ উপলে মেলার আয়োজন করা হয়। নববর্ষে নতুন জামাকাপড় পরে পরিপাটি হয়ে উৎসবে হাজির হওয়া। ওইদিন ঘরে ঘরে ভালো ভালো খাবারের আয়োজন করা হয়। হাল আমলে শহুরে জীবনে ঘটা করে আয়োজন করা হয় পানতা-ইলিশের। জাতীয় মাছ ইলিশ সবার জন্য সহজলভ্য না হয়ে দিনদিন তা হয়ে উঠছে দুষ্প্রাপ্য ও দামি। আর পহেলা বৈশাখ সামনে রেখে ইলিশের দামতো হয় লাগামছাড়া। শুধু ইলিশের েেত্র নয়, যে কোনো উৎসব সামনে রেখে জিনিসপত্রের দামবৃদ্ধি আমাদের দেশের একটি রেওয়াজ হয়ে উঠেছে। অথচ উৎসবে সবাই যাতে অংশ নিতে পারে সেজন্য জিনিসের দাম সকলের হাতের নাগালে থাকারই কথা। অন্তত পাশ্চাত্যের দিকে দৃষ্টি দিলে আমরা দেখতে পাই যে কোনো উৎসবকে সামনে রেখে জিনিপত্রের মূল্য ছাড় দেওয়া হয়। যাতে সবাই সেটা কিনতে পারে, ব্যবহার করতে পারে-উৎসবে শামিল হতে পারে। সেদিক থেকে জাতি হিসেবে আমাদের দুর্ভাগ্যই বলতে হবে।
সারা বছরটি যাতে ভালোভাবে কাটে সেই জন্য নববর্ষ মানুষ আনন্দ-উল্লাস করেই কাটায়। শুভেচ্ছা বিনিময় করে, সৌহার্দ্য বজায় রাখে। বছরের শেষ সূর্যাস্তের সাথে সাথে বিদায় ঘটে পুরনো বছরের। আবির্ভাব ঘটে নতুনের। নতুনের জয়গান সর্বত্র। নতুনকে স্বাগত জানাতে তাই আয়োজনের ঘনঘটার অন্ত থাকে না। কিন্তু সবসময় কি আমাদের চাওয়া-পাওয়ার হিসাব মেলে? মেলে না। তাইতো পুরনোর সাথে নতুনের পার্থক্য খুঁজে পাওয়াও আজ আমাদের জন্য কঠিন হয়ে উঠেছে। দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটাই স্থিতিশীল হলেও দাবি আদায়ে নিত্য-নতুন আন্দোলনের ধারা শুরু হয়েছে। যে কোনো কর্মসূচি এখন সহনশীলতার পরিবর্তে সহিংসতায় রূপ নিচ্ছে। জীবনহানি, সম্পদহানি ঘটছে প্রতিনিয়ত। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে সাংঘাতিকভাবে। এই অবস্থায় নববর্ষ উদযাপন কতটুকু নিষ্কণ্টক হবে তা নিয়ে জনমনে এক ধরনের শঙ্কা বিরাজ করছে। কিন্তু সব শঙ্কা, সব ভয়ভীতি মাড়িয়ে বাঙালি নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। রাজনীতির এই কালো মেঘ দূর হয়ে দেশে স্থিতিশীলতা বিরাজ করুক। মানুষ স্বস্তিতে, উৎসবের আমেজে দিন কাটাক। নববর্ষের নতুন সূর্য সকল অন্ধকার দূর করে প্রতিটি বাঙালির জীবন আলোকময় করে তুলুক। নববর্ষ সকলের জীবন মঙ্গলময় করে তুলুক। নতুন বছরে সুখ-শান্তি আর সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক বাঙালির হৃদয়-মন। স্বাগত জানাই বাংলা নববর্ষ ১৪২৩। সকলের সঙ্গে একই সুরে আমরাও গেয়ে উঠি, ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো…।’

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!