মেহের আমজাদ, মেহেরপুর : মেহেরপুরে পানের বরজে ভাইরাসের আক্রমণে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় পড়েছে মেহেরপুরের শত শত পান চাষি। পানের লতা পচা, পাতা ঝরা রোগের প্রকোপে গাছের গোড়ার লতায় পচন ধরাসহ গাছ শুকিয়ে পান ঝরে পড়ায় লাখ লাখ টাকা লোকসানের মুখে পড়েছে তারা। কৃষি বিভাগ বলছে ঠান্ডার কারণে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
![Shamol Bangla Ads](https://shamolbangla24.com/wp-content/uploads/2024/01/Ad-1-scaled.jpg)
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সুত্র মতে, চলতি বছর মেহেরপুর জেলায় পানের চাষ হয়েছে ৪শ ২৪ হেক্টর জমিতে। মুশিখুরি, শ্যামলা আর মিঠা জাতের পান চাষ বেশি হয় এ এলাকায়। বিগত বছর গুলোতে পান চাষ করে লাভবান হওয়ায় গড়ে উঠছে নতুন নতুন পানের বরজ। বাজার দর ভাল এবং বরজে পান ভাল থাকায় চাষিদের মুখে হাঁসি ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে পানের বরজ লতা পচা রোগে আক্রান্ত হয়ে গোড়া পচে হলুদ বর্ণ ধারন করে শুকিয়ে পাতা ঝরে পড়ায় চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কিটনাশক, সার ও ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করেও মিলছে না কোন প্রতিকার। দীর্ঘদিন থেকে পান চাষ লাভ জনক হলেও কয়েক বছর ধরে ক্ষতির মুখে জেলার পানচাষিরা।
আশরাফপুর গ্রামের পান চাষি ইয়াদ আলী জানান, প্রতি বছর একই মৌসুমে পানের এই রোগের সৃষ্টি হয়। পান গাছের গোড়ায় পচন ধরে মরে যায় পানের গাছ। ঝরে পড়ে পানের পাতা। নানা রকম কিটনাশক, সার ও ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করেও কোন প্রতিকার মিলছে না।
পান চাষি হামিদুল জানান, পান চাষ সুন্দর ও সঠিকভাবে হলে বিঘাপ্রতি দুই থেকে আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি হয়। এবার পচা ও পাতা ঝরা রোগের কারনে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞ ড. মোঃ আখতারুজ্জামান জানান, শীতের তীব্রতার কারনে পানের পাতা ঝরা রোগের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। এখন তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে পানের পাতা ঝরা স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
![](https://shamolbangla24.com/wp-content/uploads/2023/11/final01.gif.pagespeed.ce.zncBWSXmwh.gif)