শেরপুর-১ (সদর) আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলামের নির্বাচনী গণসংযোগে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। ২৫ অক্টোবর শনিবার বিকেলে শহরের উৎসব কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওই কর্মসূচি জানান জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা হাফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, ভোটের গণসংযোগে এমন ন্যক্কারজনক হামলায় শেরপুরবাসী উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। এতে আগামী নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিনি ওই হামলার ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত সকলকে দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তির আওতায় আনার জন্য ও নিবার্চনী কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান। সেইসাথে আগামী নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ ও সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সন্ত্রাসীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি ও গণসচেতনতার অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে রবিবার বিকেল ৪টায় শহরের খোয়ারপাড় মোড় থেকে থানা মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ঘোষণা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের আমীর আরও বলেন, পূর্বনির্ধারিত সিডিউল অনুযায়ী সকাল শুক্রবার ১০টা থেকে জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থীর গণসংযোগ শুরু হয়। সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের দিকপাড়ার একটি মসজিদে জু’মার নামাজ আদায় করে নেতাকর্মীরা ব্যাঙের মোড় থেকে চুনিয়ারচর প্রাইমারি স্কুল মাঠে পথসভায় যাওয়ার সময় ডাকপাড়া গ্রামে মিজানুর রহমান, লুৎফর রহমান তারেক, মামুনুর রশিদ, মাফিজুল ইসলাম, মুরাদ মিয়া, নূরীসহ ১০-১২জন সশস্ত্র অবস্থান নিয়ে পথরোধ করে। গণসংযোগে অংশগ্রহনকারী নেতাকর্মীরা আগাতে চাইলে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অর্তকিত সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে অন্তত: ২০ জন গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। আঘাতপ্রাপ্তদের মধ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির শেরপুর জেলা শাখার সাবেক সভাপতি শফিউল আলম স্বপন ও জামায়াত নেতা রাকিবুল হাসান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন এবং বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। হামলাকারী দলের সবাই নিজেদের বিএনপি নেতাকর্মী বলে দাবি করেন। ওই ঘটনার পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে আমাদের নেতাকর্মীদেরকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর পুলিশকে অবগত করা হয়। পুলিশের আসতে বিলম্ব হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন হবার আশংকা দেখে নেতাকর্মীরা স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় স্থান ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় আহত জামায়াত নেতা রাকিবুল হাসান বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় ৪ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এদিকে শুক্রবার রাতে জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিক সম্মেলনের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, এ ধরনের অশোভন মন্তব্য রাজনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থি এবং সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সহায়ক।
ওইসময় গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন জামায়াতের সংসদ সদস্যপ্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও শেরপুর-২ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের এমপি প্রার্থী নুরুজ্জামান বাদল, জেলা প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি ও শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের এমপি প্রার্থী মু. গোলাম কিবরিয়া ভিপিসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।




