স্টাফ রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে সবসময় মাস্ক পরেন এবং সবাইকে মাস্ক পরতে বলেন। তাই রোগবালাই থেকে মুক্ত থাকতে আপনারাও নিয়মিত মাস্ক পরুন। মাস্ক পরলে শুধু করোনা থেকে নয়, ধুলোবালি থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। তাতে ঠান্ডাজনিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। তিনি ২৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে তার নির্বাচনী এলাকা শেরপুরের নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়নের বারমাইসা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হতদরিদ্রদের মাঝে শীতের কম্বল বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওইসব কথা বলেন। দেরিতে শীতবস্ত্র বিতরণের বিষয়ে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে এখানে পৌরসভা নির্বাচন ছিল। কেউ যাতে বলতে না পারে পৌরসভা নির্বাচনের আগে আগে কম্বল বিতরণ করে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করেছি, সেজন্য নির্বাচনের পর বিতরণ করছি।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বালিশে মাথা দিয়ে চিন্তা করেন তিনি মানুষকে কিভাবে দেবেন। তিনি পরহেজগার। তাই মানুষ কে দেওয়ার ভাবনা ভাবেন। অন্যদিকে চোরের নিয়ত চুরি করা। তাই বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়া এতিমদের টাকা চুরি করেন। এটাই দুই নেতার মধ্যে পার্থক্য। তিনি বলেন, একের পর এক ভাতা দিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। বয়স্ক, বিধাবা, মাতৃত্বকালীণ, প্রতিবন্ধীসহ আরও কত রকম ভাতা। করোনাকালে কোটি মানুষের হাতে আড়াই হাজার করে টাকা তুলে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে আওয়ামীলীগের এ নেতা বলেন- শেখ হাসিনার হাতে যখন দেশ, নিরাপদ তখন বাংলাদেশ।
করোনা টিকা প্রসঙ্গে মতিয়া চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা তার দেশের মানুষের কথা ভাবেন। তাই বিশে^ অনেক দেশ যখন টিকা পাচ্ছে না। তখন তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে দেশের মানুষ করোনা টিকা পাচ্ছেন। দেশে যাতে করোনা টিকা না আসে সেই ষড়যন্ত্রে সফল না হয়ে অবশেষে বিএনপির নেতারাও এখন করোনা টিকা নিচ্ছেন। এখানেই প্রধানমন্ত্রীর সাফল্য।
কম্বল বিতরণকালে তার সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুুশফিকুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল হক হিরাসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মতিয়া চৌধুরী নকলা উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১ হাজার এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১ হাজার ৩শসহ মোট ২ হাজার ৩শ হতদরিদ্রের মাঝে কম্বল বিতরণ করবেন। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিস, থানা পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার আরও ৭শ মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হবে।