স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঐতিহ্যবাহী শেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে এবার আওয়ামী ও সমমনাদের সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ এবং বিএনপি ও সমমনাদের সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে দু’টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সমন্বয় পরিষদে সমিতির সিনিয়র আইনজীবী, দু’দফার সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখলেছুর রহমান আকন্দ সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম ভাসানী সাধারণ সম্পাদক এবং ঐক্য পরিষদে সিনিয়র আইনজীবী, সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ সিরাজুল ইসলাম সভাপতি ও সাবেক অডিটর মোঃ ছামিউল ইসলাম আতাহার সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে উভয় প্যানেলের প্রার্থীরা তাদের ব্যাপক নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেছেন।
এদিকে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদে সমন্বয় পরিষদের ৪ জন নির্বাহী সদস্যই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হচ্ছেন রুকনুজ্জামান রুকন, ফকির মোঃ নাহিদুজ্জামান, মোঃ আকরামুজ্জামান ও মোঃ এরশাদ আলী লিটন।
জানা যায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ থেকে মোখলেছ-ভাসানী প্যানেলে ১৩ সদস্যের নির্বাহী পরিষদে ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তারা হচ্ছেন সহ-সভাপতি পদে হরিদাস সাহা ও মোঃ ইসমাইল হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে রেদওয়ানুল হক আবীর ও মমিনুল ইসলাম মমিন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে পলাশ কুমার নন্দী, সাহিত্য ও পাঠাগার সম্পাদক পদে মেরাজ উদ্দিন চৌধুরী, অডিটর পদে শিবলু চন্দ্র দাস এবং নির্বাহী সদস্য পদে রুকনুজ্জামান রুকন, ফকির মোঃ নাহিদুজ্জামান, মোঃ আকরামুজ্জামান ও মোঃ এরশাদ আলী লিটন। অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ থেকে সিরাজ-আতাহার প্যানেলে ৩ জন নির্বাহী সদস্য পদ ব্যতীত ১০ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তারা হচ্ছেন সহ-সভাপতি পদে মতিউর রহমান ও আশরাফুল আলম লিচু, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ বাচ্চু ও রাশেদুর রহমান রাসেল, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মোক্তারুজ্জামান মুক্তার, সাহিত্য ও পাঠাগার সম্পাদক পদে শামছুল হক আলম, অডিটর পদে ফরহাদ আলী এবং নির্বাহী সদস্য পদে জয়নাল আবেদীন আপেল।
১৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের হোটেল আলীশানে সমন্বয় পরিষদের প্যানেল পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জাতীয় সংসদের হুইপ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বার ও বেঞ্চের বহুল প্রতীক্ষিত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণসহ বারের উন্নয়নের সার্বিক দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে সমন্বয় পরিষদ মনোনীত মোখলেছ-ভাসানী পরিষদকে বিজয়ী করার জন্য আইনজীবীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। সিনিয়র আইনজীবী নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি, জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি এডভোকেট একেএম মোছাদ্দেক ফেরদৌসী। সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধারও এক পৃথক বিবৃতিতে বারের উন্নয়নে সমন্বয় পরিষদ মনোনীত প্যানেলকে বিজয়ী করতে আইনজীবীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।এদিকে ১৮ ফেব্রুয়ারি ঐক্য পরিষদের একমাত্র নির্বাহী সদস্য প্রার্থী জয়নাল আবেদীন আপেল তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় সমন্বয় পরিষদের ৪ নির্বাহী সদস্যই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিনিয়র আইনজীবী নারায়ণ চন্দ্র হোড় ২০ ফেব্রুয়ারি শ্যামলবাংলা২৪ডটকমকে জানান, এ নির্বাচনে দু’টি প্যানেল থেকে উভয় প্যানেলে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ২৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। একটি প্যানেল থেকে তাদের একমাত্র নির্বাহী সদস্য প্রার্থী তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ইতোমধ্যে অপর প্যানেলের ৪ নির্বাহী সদস্যই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। অবশিষ্ট ৯ পদে ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সমিতির ২ নং বার ভবনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবার সমিতির ১৫৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।