স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝড়ে পড়া শিশুদের শিক্ষার সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ওইসব ঝড়ে পড়া শিশুদের আবারো পড়ালেখায় ফিরিয়ে এনে পঞ্চম শ্রেণি পাশের পর দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মকর্মী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ৪র্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ণ কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) আওতায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মাধ্যমে ‘আউট অব স্কুল চিল্ড্রেন’ নামে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শেরপুরে ওই কর্মসূচির এক অবহিতকরণ সভায় এমন তথ্য জানান উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর কর্মকর্তারা।
জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুারোর উপ-পরিচালক সৈয়দ মোক্তার হোসেন জানান, সারাদেশে একযোগে শুরু হতে যাচ্ছে ‘আউট অব স্কুল চিল্ড্রেন’ কর্মসূচি। ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝড়ে পড়া শিশুদের নিয়ে প্রতি উপজেলায় ৭০টি করে শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। প্রতিকেন্দ্রে একজন শিক্ষকের তত্বাবধানে ৩০ জন করে শিশু শিক্ষার্থী থাকবে। যাদের ৫ম শ্রেনী পাশ করার পর চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যাতে তারা নিরক্ষরতার অভিশাপমুক্ত হয়ে স্বাবলম্বী হতে পারে। তিনি জানান, শেরপুর জেলায সদর ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় ‘আউট অব স্কুল চিল্ড্রেন’ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে। তিন বছর মেয়াদী এ কর্মসূচিটি বাস্তবায়িত হলে জেলায় বিদালয় বহিভুত কোন নিরক্ষর শিশু থাকবে না।
২৫ জানুয়ারি সোমবার বিকেলে শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়ন সংস্থা ও সাংবাদিকদের নিয়ে এ অবহিতকরণ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহায়তায় সদর উপজেলা প্রশাসন ও বাস্তবায়নকারি সংস্থ্যা প্রত্যয় যৌথভাবে এ সভাটির আয়োজন করে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফিরোজ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম। এতে কর্মসূচির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুারো উপ-পরিচালক সৈয়দ মোক্তার হোসেন ও ‘প্রত্যয়’ নির্বাহী পরিচালক রেবেকা ইয়াসমিন রেবা। অন্যান্যের মধ্যে সদর উপজেলা সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আকরাম হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ মজু, শফিকুল ইসলাম মিজু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় জানানো হয়, ইতোমধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝড়ে পড়া শিশু জরিপ কাজ শুরু হয়েছে। জরিপ কাজ শেষে বাস্তবায়নকারি সংস্থার মাধ্যমে শীঘ্রই শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন, শিক্ষক নিয়োগ ও পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে।