মইনুল হোসেন প্লাবন, স্টাফ রিপোর্টার : ২০ জানুয়ারি বুধবার মিরপুরের শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘ ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছে টিম বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে নিয়মিত ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ঘটছে তামিম ইকবালের। সেইসঙ্গে ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছে পেসার হাসান মাহমুদের। দলে ঢুকেই তিনি নিজেকে মেলে ধরেছেন। জাত চিনিয়েছে নিজের। ওয়ানডেতে একজন বোলার সর্বোচ্চ ১০ ওভার বল করতে পারেন। কিন্তু সে সুযোগ হয়নি হাসানের। বল করেছেন মাত্র ৬ ওভার। আর তাতেই ভস্মিভূত হয়েছে উইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা। নিজের পঞ্চম ওভারের প্রথম ২ বলে ২ উইকেট নিয়ে নিজের জাত চেনান লক্ষ্মীপুরের এ ক্রিকেটার। ৬ ওভারে ২৮ রান দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে ১টি মেইডেন ওভার রয়েছে। আর উইকেট নিয়েছেন ৩টি।
জানা যায়, লক্ষীপুরের ছেলে হাসান দেশের ৩৬ বছরের ওয়ানডে ইতিহাসের ১৩৪তম খেলোয়াড় হিসেবে অভিষিক্ত হন। ১৩৫ থেকে ১৪২ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করতে পারেন তিনি। তার উচ্চতা, গতি আর বোলিংয়ে বৈচিত্র্য নজর কেড়েছে রাসেল ডমিঙ্গোর। গেল বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছিলেন। সেবার অভিষেক না হলেও, ১০ মাস আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা স্বপ্নপূরণ হয়েছে। কোন উইকেট না পেলেও টিম ম্যানেজমেন্টের সুনজরে ছিলেন।
উইন্ডিজ সিরিজের আগে বিকেএসপিতে প্রস্তুতি ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেন। শিকার করেন ২ ম্যাচে ৬ উইকেট। এমন পারফরম্যান্সে মূলত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে দলে জায়গা করে নেন ২১ বছর বয়সী এ তরুণ। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি আসরে জেমকন খুলনাকে শিরোপা এনে দেয়ার ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা ছিল। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এই টুর্নামেন্টে ৯ ম্যাচে শিকার করেন ১১ উইকেট।
হাসান মাহমুদ লম্বা স্পেলে ক্লান্তিহীন বোলিং করে যেতে পারেন। বিশেষত ডেত ওভারে দারুণ কার্যকরী বোলার। তা ঘরোয়া আসরে দেখা গেছে। ওইসব বিবেচনায় জাতীয় দলে আবির্ভাব ঘটে এ তরুণ পেসারের। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এ পর্যন্ত ১৪ ম্যাচে ৩৭ আর লিস্ট ‘এ’তে ১৬ ম্যাচে ২০ উইকেট শিকার খুব আহামরি কিছু না হলেও, ছেলেটার মাঝে ভালো ভবিষ্যত দেখেছেন নির্বাচকরা।