অনুচ্ছেদ রচনার ক্ষেত্রে ভাষাগত সৌকর্যকে গুরুত্ব দিতে হবে। অনুচ্ছেদ যদি ভাবমূলক হয় তাহলে ভাষায় অলঙ্কার, উপমা ব্যবহার করে সাহিত্যভাব সৃষ্টি করতে হবে। তথ্যমূলক অনুচ্ছেদে প্রচুর তথ্যের সমাগম ঘটানো কাম্য।
পত্র লিখনে প্রচলিত নিয়ম মেনে চলতে হবে। আবেদনপত্রের ক্ষেত্রে আমেরিকান স্টাইল অনুসরণ করলে ভালো হয়। মানপত্র লিখতে হলে তোমার ভাষার দক্ষতা ও শব্দচয়ন দক্ষতা নিখুঁত হতে হবে। শব্দ ব্যবহারে পটু না হলে মানপত্র না লেখাই ভালো।
সারাংশ বা সারমর্ম লিখনে মূল কথাটি যত অল্প বাক্যে লেখা যায় ততই ভালো। এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শব্দচয়ন না করাই উচিত। উপমা, উদাহরণ এখানে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
ভাবসম্প্রসারণ লেখার ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে বাক্যটিকে ভালো করে বুঝে নিয়ে একটি মূল ভাব তৈরি করে নিতে হবে। দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে ভাবটিকে যুক্তিতর্ক, উদাহরণ দিয়ে ফুটিয়ে তুলতে হবে। সবশেষে একটি উপসংহার টানতে হবে।
প্রতিবেদনের দুটি অংশ যথাযথভাবে লিখতে হবে। মূল প্রতিবেদনে তথ্য উপস্থাপন জরুরি। এর কভার লেটারে স্মারক নংউল্লেখ করতে হবে।
প্রবন্ধ লেখা নিয়ে কিছু কথা না বললেই নয়। প্রবন্ধ লেখায় তথ্য ও মনীষীদের উক্তি বেশি করে ব্যবহার করবে। পয়েন্ট যত বেশি দেয়া যায় তত ভালো। পয়েন্টের অন্তর্গত সাব পয়েন্ট ব্যবহারের চেষ্টা করবে। রচনা বা প্রবন্ধের লেখাগুলো হবে সুচিন্তিত ও ধারাবাহিক। একই কথার পুনরাবৃত্তি করবে না।
লেখক : উজ্জ্বল কুমার সাহা, প্রভাষক, সেন্ট যোশেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঢাকা।