শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা খাত হতে আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংসকল্পে বেসরকারি/ব্যক্তিমালিকানাধীন নার্সারি মালিকদের চারার ক্ষতিপূরণ কর্মসূচির আওতায় ৪৫ হাজার আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস করা হয়েছে। ২ জুলাই বুধবার দুপুরে উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে কৃষি অফিস চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন।

ওইসময় উপজেলা নার্সারী মালিক সমিতির সভাপতি খাইরুল ইসলাম খান, সহ-সভাপতি ফজলুল হকসহ উপজেলা কৃষি অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভিন্ন নার্সারী মালিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, পরিবেশের জন্য হুমকি এবং রাক্ষুসী গাছ হিসেবে খ্যাত ইউক্ল্যাপ্টারর্স ও আকাশমনি চারা রোপণে সরকারিভাবে অনেক আগেই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলা কৃষি অফিস এই উপজেলার ২৯ টি নার্সারী থেকে প্রাপ্ত ১ লাখ ২৭ হাজার চারা নিধনের পত্র প্রেরণ করেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রতি চারা ৪ টাকা হারে প্রণোদনার মাধ্যমে ৪৫ হাজার নিধনের অনুমতি প্রদান করেন।

উপজেলা নার্সারী মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. ফজলুল হক জানান, সরকারের নির্দেশনা মেনে ভবিষ্যতে আমরা এই জাতীয় চারা তৈরী ও বিক্রি থেকে বিরত থাকবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন উপস্থিত সকল নার্সারী মালিকসহ অন্যান্য সকলকে পরিবেশ ক্ষতিকর এসব চারা এখনও উপজেলার যেখানে যেখানে রয়েছে, তা নিজ উদ্যোগে ধ্বংস করার আহবান জানান। নচেৎ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।




