শেরপুরে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ মে বুধবার সকালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের (১ম সংশোধিত) আওতায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ওই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (যুগ্মসচিব) আ.ন.ম. নাজিম উদ্দীন।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের সিনিয় কনসালটেন্ট মো. আইয়ুব হোসেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোসা. হাফিজা জেসমিনের সভাপতিত্বে ও জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. শাকিলুজ্জামানের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন শেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ শাহীন, শেরপুর চেম্বারের প্রতিনিধি মো. আব্দুল আওয়াল চৌধুরী, প্রেসক্লাব সভাপতি কাকন রেজা, জেলা পুলিশের ডিআইও-১ খন্দকার শহিদুর রহমান, শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা এ্যানী সুরাইয়া মিলোজ প্রমুখ।
জেলা পর্যায়ের এ কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেকহোল্ডার, ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধি, ভোক্তা অধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ শতাধিক সুধীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধে ৫টি মুল কৌশলকে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণের চাবিকাঠি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এগুলো হলো বাজার থেকে ক্রয় বা সংগ্রহের সময় সাবধানে খাদ্য বাছাইকরণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, কাঁচা খাবার, রান্না করা খাবার থেকে আলাদা রাখা, খাবার সঠিক তাপমাত্রায় রান্না করা (অর্থাৎ ৬০ ডিগ্রী সে. তাপমাত্রার ওপরে রান্না করা) এবং নিরাপদ তাপমাত্রায় খাদ্য সংরক্ষণ করা (সম্পর্কে বলা হয়, অর্থাৎ ৫ ডিগ্রী সে. তাপমাত্রার নীচে সংরক্ষণ করা)।
এছাড়া কর্মশালায় নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩, খাদ্যের নিরাপদতা, খাদ্য অনিরাপদ হওয়া, ভোক্তা-খাদ্য ব্যবসায়ী ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভূমিকা, নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার চেনার উপায়, খাদ্যজাত আবর্জনা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক পারিবারিক নির্দেশিকা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও করণীয় সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হয়।
