এবার গ্রীষ্মে সহনীয় মাত্রায় লোডশেডিং হবে, যা গ্রাম ও শহরে সমভাবে বণ্টন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। ২৬ এপ্রিল শনিবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা জানান তিনি।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, গ্রাম ও শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো পার্থক্য থাকবে না এবার। গ্রাম ও শহরের মধ্যে সমন্বয় থাকবে। জ্বালানি আমদানি করতে পারবো। আমাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, এটা স্বল্পমেয়াদের সরকার। জ্বালানির সব কিছুতে অনেক সময় লাগে। এমন কিছু আমরা হাতে নেই না যা আমরা করতে পারবো না। আমরা অগ্রাধীকার নিয়েছি বকেয়া পরিশোধের। বিল পেমেন্ট না করলে কোন দেশ ব্যবসা করবে! গেল সরকারের রেখে যাওয়া বকেয়া ৩.২ বিলিয়ন ডলার কমে এখন ৬০০ মিলিয়ন ডলার হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ফলে এই সরকারের স্বল্প মেয়াদে জ্বালানি খাতের সব সংস্কার সম্ভব নয়। আগামী দুই মাসের মধ্যে সিস্টেম লস ৫০ শতাংশ কমাতে হবে। লাইন লিকেজ ছিল সেগুলো ঠিক করা হচ্ছে। গ্যাস চুরির বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এলএনজি আমদানি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে এনেছি। তবে আগামী বছর তো বকেয়া দিতে হবে না। শুধু কারেন্ট পেমেন্ট দিতে হবে। আগামী বছর ভর্তুকি বাড়বে না বরং কমবে। আমরা গহ্বরে পড়েছিলাম সেখান থেকে উঠে আসার চেষ্টা করতেছি।
উপদেষ্টা বলেন, অ্যাপল-গুগলের মতো লাভজনক বিদ্যুৎ জ্বালানি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মতো দেশের সরকারি কোম্পানিগুলোর কর্মীরা বেতনের বাইরে বছরে ৩০ থেকে ৪০ টি অতিরিক্ত পেমেন্ট পান। এ ধরনের পেমেন্ট বন্ধ করা হবে।
সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়ে তিনি বলেন, বিটে কেউ অংশ নেয়নি, মিনিস্ট্রিতে ফাইনাল এপ্রুভ হয়ে গেলে পুনরায় রি-টেন্ডার করা হবে।
জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ বিইআরসিকে দেওয়া হচ্ছে না কেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা চিন্তা করছি, মন্ত্রণালয় আছে, কারণ তেলের দাম হঠাৎ করে বেড়ে যায়। আবার আপনারাই বলতে পারেন তেলের দাম কমছে না কেন! এটার জন্য প্রতিবেশী দেশের দাম আর ভর্তুকির বিষয় থাকে।
