শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সড়ক মেরামতে অনিয়ম ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সংস্কারের পর উল্টো চলাচলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়েছে।

জানা গেছে, ঝিনাইগাতী উপজেলার কোয়ারিরোড থেকে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর পর্যন্ত সাড়ে ৯ কিলোমিটার রাস্তার বেশ কিছু জায়গায় ভাঙন ছিল। ফলে ওই সড়কটি সংস্কার কাজ হাতে নেয় শেরপুরের সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। প্রায় ২ কোটি টাকার ব্যয়ে টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদারও নিয়োগ দেওয়া হয়। টাঙ্গাইলের মেসার্স ভুইয়া কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী গোপালপুরের কাজি লিয়াকত কাজটি পান। গত ২ মার্চ থেকে সওজের তদারকিতে শুরু হয় সড়ক সংস্কার কাজ। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন নিয়মমাফিক কাজ না করে নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ উঠে।
স্থানীয়রা জানান, ঠিকাদের লোকজন বিটুমিন কম ব্যবহার করে ও নিয়মের তুলনায় পাথর কম ব্যবহার করে হরিলুটের পাঁয়তারা করে আসছেন। ঠিকাদারের লোকজন জনবহুল স্থানে কিছু কিছু স্থানে সংস্কার কাজ ভালো করে অন্যান্য স্থানগুলোতে নিম্নমানের কাজ করছেন। বিটুমিন কম ব্যবহার করায় নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই পাথর উঠে যাচ্ছে। কাজের ফিনিশিংও হয়নি। বিভিন্ন স্থানে রয়েছে খানাখন্দে ভরা।

ঝিনাইগাতীর বাসিন্দা আবুল বাশার, বিল্লাল হোসেন, আনিস আহমেদ ও শেরপুর সদরের পলাশ মিয়াসহ অনেকেই সড়ক সংস্কার কাজে বিটুমিন কম ব্যবহারের বিষয়টি সরেজমিনে অনুসন্ধান ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপর মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
তবে অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী লিয়াকত আলী বলেন, সঠিকভাবেই নির্মাণ কাজ করা হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ সত্য নয়।
এ ব্যাপারে শেরপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাকিরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। সংস্কার কাজের সিডিউলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অফিসে এসে জানার জন্য বলেন।
