ads

বুধবার , ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৮শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

শেরপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার হার ৬৪%, এগিয়ে হাজং

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
জানুয়ারি ২৯, ২০২৫ ৫:১৭ অপরাহ্ণ

বেকার জনগোষ্ঠী ৩.৮০ শতাংশ

শেরপুরে ২০ হাজার ৮৪০ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। প্রত্যেক পরিবারে ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ মানুষ বাস করে। এ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৬৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ শিক্ষিত। এর মধ্যে পুরুষ ৬৯ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং নারী ৫৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি শিক্ষার হার হাজং জনগোষ্ঠীর। এ জনগোষ্ঠীর পুরুদের মধ্যে ৭৯ দশমিক ২ শতাংশ এবং নারী ৬৮ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষিত। শেরপুর জেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের আর্থসামাজিক অবস্থা জরিপ ২০২৩-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। জরিপটি পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস সম্মেলন কক্ষে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।

Shamol Bangla Ads

বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক অতিরিক্ত সচিব ফরহাদ সিদ্দিক, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হামিদুল হক এবং শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান। প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্পটির পরিচালক ফারহানা সুলতানা। বক্তৃতা করেন বিবিএস-এর প্রভার্টি ফোকাল পয়েন্ট মহিউদ্দিন আহমেদ, যার অনুরোধে এ জরিপটি করা হয় শেরপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক সাহেলা আকতার প্রমুখ। প্রশ্নোত্তর-পর্ব পরিচালনা করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্মসচিব দীপঙ্কর রায়। ওইসময় শেরপুরের আরেক সাবেক জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেরপুরের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের হার ১৫ থেকে বেশি বছর বয়সের মানুষের মধ্যে ৫১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এর মধ্যে ঝিনাইগাতী উজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৩ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং নারী ৪৯ দশমিক ২১ শতাংশ। নকলা উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং নারী ২০ দশমিক ৯২ শতাংশ। এছাড়া নালিতাবাড়ী উপজেলায় পুরুষ ৬৩ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং নারী ২৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ। শেরপুর সদর উপজেলায় পুরুষ ৭৬ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং নারী ১৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। শ্রীবরদী উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত রয়েছেন পুরুষ ৭৪ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং নারী ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ।

Shamol Bangla Ads

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শেরপুর জেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে বেকার হার তিন দশমিক ৮০ শতাংশ। ঝিনাইগাতী উপজেলায় বেকার পুরুষ তিন দশমিক শূন্য দুই শতাংশ এবং নারী তিন দশমিক ৪৬ শতাংশ। নকলা উপজেলায় পুরুষ বেকার চার দশমিক শূন্য চার শতাংশ এবং নারী তিন দশমিক শূন্য দুই শতাংশ। নালিতাবাড়ী উপজেলায় পুরুষ বেকার তিন দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং নারী চার দশমিক ৬১ শতাংশ। শেরপুর সদর উপজেলায় বেকার পুরুষ চার দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং নারী সাত দশমিক ১০ শতাংশ। শ্রীবরদী উপজেলায় বেকার পুরুষদের মধ্যে দুই দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং নারী তিন দশমিক ৮৪ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শেরপুর জেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে প্রতিবন্ধীর হার এক দশমিক ৮৪ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নালিতাবাড়ীতে দুই দশমিক ৫১ শতাংশ ও সবচেয়ে কম শেরপুর সদরে এক দশমিক ১৫ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মানুষের মধ্যে বাংলায় কথা বলে ৪২ দশমিক ২৫ শতাংশ। দ্বিতীয় গারো ভাষায় কথা বলে ৩১ দশমিক ৬২ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে কোচ ভাষায় ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগণের মধ্যে ৩৬ দশমিক ৯১ শতাংশ মানুষ ভাত ও মাছ খায়। নাগারাই খায় শূন্য দশমিক ২০, সিংজু শূন্য দশমিক ২২, সিনজিডা শূন্য দশমিক ১৪, নামপি শূন্য দশমিক ৭৭, শামুক ১৪ দশমিক ১৬, কাঁকড়া ১৭ দশমিক ৫৬, কচ্ছব ৯ দশমিক ২৭, কুচিয়া ১৯ দশমিক ৭২ এবং অন্য খাবার খায় ১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।

এছাড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এ পূজা পালন করেন ৩৬ দশমিক শূন্য চার শতাংশ মানুষ। দ্বিতীয় অবস্থানে ক্রিসমাস ডে বা বড়দিন পালন করেন ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ মানুষ। তৃতীয় অবস্থানে ওয়ানগালা উৎসব পালন করেন ১৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ মানুষ।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!