ads

সোমবার , ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

কবি ও শিশু সাহিত্যিক মোস্তাফিজুল হকের ৫১তম জন্মদিন আজ

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪ ৭:৪৯ অপরাহ্ণ

এ সময়ের বিশিষ্ট কবি ও শিশু সাহিত্যিক মোস্তাফিজুল হকের ৫১তম জন্মদিন আজ (৩০ ডিসেম্বর)। ১৯৭৪ সালের এই দিনে তিনি শেরপুর শহরের শেখহাটি মহল্লার খন্দকার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। কবি-শিক্ষক পিতা মরহুম খন্দকার মউলুদুল হক ও মাতা জাহানারা বেগমের ছয় ছেলেমেয়ের মধ্যে তিনি চতুর্থ সন্তান।

Shamol Bangla Ads

শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি প্রায় দেড়যুগ যাবত টানা নিয়মিত লিখছেন। তার লেখা কবিতা, ছড়াসহ শিশু সাহিত্য ও অনুবাদ প্রায় প্রতিনিয়তই বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এ পর্যন্ত তার প্রকাশিত একক গ্রন্থের সংখ্যা ১৭টি। আগামী বইমেলাতেও তার একাধিক প্রকাশনা থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মোস্তাফিজুল হক দুই সন্তানের জনক। তার বড় মেয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সম্মান শ্রেণির শিক্ষার্থী, শিশুসাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক। তার ছেলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তিনি অত্যন্ত বন্ধুবাৎসল লোক এবং সদালাপী। সাহিত্যাঙ্গনে তার দখল শেরপুরের গন্ডি পেরিয়ে জাতীয় পর্যায়ে পাখা মেলেছে।

Shamol Bangla Ads

এদিকে বিশিষ্ট কবি ও ছড়াকার মোস্তাফিজুল হকের ৫১তম জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কবি সংঘ বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার ও সাধারণ সম্পাদক ড. আবদুল আলীম তালুকদার। তারা তার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে আগামী দিনে তার লেখনী জাতীয় পর্যায়ে আরও অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

আমাদের মোস্তাফিজুল হক : নূরুল ইসলাম মনি

মোস্তাফিজুল হক।আমাদের মোস্তাফিজ।সীমান্ত ঘেঁষা শেরপুর জেলার একজন অন্যতম সেরা শিশুসাহিত্যিক। কিম্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো তিনি অন্য সবার মতো ছেলেবেলা থেকে বা ছাত্রজীবন থেকে সাহিত্যচর্চা শুরু করেননি।তিনি সাহিত্যচর্চা শুরু করেছেন পরিণত বয়সে এসে। বিয়ের পর থেকে।

প্রচণ্ড রকমের কাব্যমেধা থাকা সত্ত্বেও তিনি ছিলেন নিরব,নিশ্চুপ।পাখি ডাকা ভোর, সূর্য ওঠা সকাল, শিশির ভেজা দুর্বাঘাস আর ঝিঁঝিঁ পোকার একটানা সংগীতের শীতল সুরে মোহিত সন্ধ্যা তাকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করতো।মান্দাখালির কচুরিপানা ঢাকা নিটুল পানিতে মাছের আশায় বসে থাকা সাদা বকের তাপসী রূপ তিনি দেখতেন স্থির নয়নে।দেখে তিনি বিস্মিত হতেন,তিনি মুগ্ধ হতেন,তিনি বিমূঢ় হতেন।কিন্তু লেখালেখির দিকে হাত বাড়াতেন না।এক অদৃশ্য বাধা,দেয়াল হয়ে দাঁড়াতো তার সামনে।তিনি সন্তর্পণে দূরে থাকতেন সাহিত্যচর্চা থেকে।

কিন্তু ঐ যে কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন,

‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি
চির কল্যাণকর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী
অর্ধেক তার নর।’

ঠিক এই নীতি বাক্যকে অন্তরে ধারণ করে মোস্তাফিজের জীবনের সাথে এসে গাঁটছড়া বাঁধলেন রেহানা হক তৃপ্তি।মোস্তাফিজের যোগ্যতম স্ত্রী। তিনি এসেই নাড়া দিলেন মোস্তাফিজের কাব্য জগতের সবুজ বৃক্ষের ছন্দিত শাখায়। গোড়া ধরে টান দিলেন মোস্তাফিজের কবি সত্ত্বাকে।

মোস্তাফিজের প্রয়াত পিতা শেরপুর জেলার শ্রেষ্ঠতম শিক্ষক মান্যবর জনাব খন্দকার মউলুদুল হক কী ভাবে যে একটা মূল্যবান রত্নকে খুঁজে এনে মোস্তাফিজের সাথে জোড়ে দিলেন সে এক অপার বিস্ময়।

মোস্তাফিজ জানতোই না যে তার জন্য পাত্রী খোঁজা হচ্ছে।কেমনে জানবে? খুঁজলেই তো জানা যায় খোঁজার কথা। না খুঁজেই মোস্তাফিজের বাবা পেয়ে গেলেন এক রত্নভাণ্ডার।পেয়ে গেলেন মোস্তাফিজের জন্য সকল বিবেচনাতেই শ্রেষ্ঠতম এক অমূল্য রত্ন।আর কাল বিলম্ব না করে রেহানা হক তৃপ্তিকে পুত্র বধূ করে নিয়ে এলেন মোস্তাফিজের ঘরে।

বাস! হয়ে গেলো।মোস্তাফিজুল হকের ঘুমন্ত কাব্য প্রতিভা জেগে ওঠলো রেহানা হক তৃপ্তির অমূল্য পরশে।

সমুদ্রবক্ষে হঠাৎ জেগে ওঠা দ্বীপের মতো মাথা উত্তোলন করে নিজের অস্তিত্বের জানান দিলো মোস্তাফিজুল হকের কাব্যমেধা। তিনি লিখা শুরু করলেন।সৃষ্টি হতে থাকলো শিশু সাহিত্যের অমর সব ছড়া, গল্প,কিশোর কবিতা।প্রকাশ হতে থাকলো দেশের বড়োবড়ো বাঘা বাঘা জাতীয় পত্রিকায়।ইত্তেফাক, সংবাদ, যায়যায়দিন, কালের কণ্ঠ,মানবকণ্ঠ সহ এমন কোনো পত্রিকা নাই,যে পত্রিকা মোস্তাফিজের লেখা বুকে ধারণ করে নাই।

পত্রিকায় তার লেখা প্রকাশ হওয়ার পাশাপাশি গ্রন্থও প্রকাশ হতে থাকলো। একে একে প্রকাশ হলো তার জনপ্রিয় শিশু সাহিত্যের বইঃ
১) সুনন্দিতা,
২) হিমি ফিরে আসবে,
৩) ইচ্ছে ডানার পাখি,
৪) জ্ঞানের আলো,
৫) ইংলিশ রাইমস্,
৬) সহজভাবে ছোটদের বাংলা ছড়া, ৭)তিন রসিকের হাসির মেলা, ৮)সহজভাবে ছোটদের বিদেশি মজার গল্প,
৯) ছয় দেশের ছয় রূপকথা,
১০) পাখির গল্প,
১১) মায়ের হাতে প্রথম পড়া,
১২) পরির মেয়ে
১২) সহজভাবে ছোটদের সাধারণ জ্ঞান, এছাড়াও বিভিন্ন ক্লাশের পাঁচটি পাঠ্যবই।

শুরু থেকে মোস্তাফিজের সাথে আমার পরিচয় ছিলো না।একটা সাহিত্য সভায় যোগ দিতে এসে তার সাথে আমার পরিচয় হয়।ক্রমান্বয়ে তার সাথে আমার আন্তরিকতা ও ঘনিষ্ঠতা জন্মে। শিশু সাহিত্যে তার দখল দেখে আমি চমকিত হই।তার সৃষ্টিসম্ভার দেখে অবাক হই। আমি নিজে যা পারছিলাম না মোস্তাফিজ তা নিপূণতার সাথে করতে পারছে দেখে আমি আনন্দিত হই।

তার সাথে ঘনিষ্ঠতা,সখ্যতা এবং ওঠাবসার কারণে জানতে পারি তার ব্যক্তিগত জীবনের কথা।কাব্যজগতে পদার্পন করে সফলতা অর্জনে তার স্ত্রী রেহানা হক তৃপ্তির অসাধারণ অবদানের কথা। স্ত্রীর অনুপ্রেরণায় কাব্যচর্চা আমাদের সমাজে নেই বললেই চলে। আমার জানামতে, আমরা সবাই কাব্যচর্চা করতে গিয়ে স্ত্রীর দ্বারা প্রবলভাবে বাধাগ্রস্থ হই, ক্ষতিগ্রস্থও হই। কিন্তু রেহানা হক তৃপ্তি এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তিনি মোস্তাফিজের কাব্যচর্চায় বাধার কারণ হননি, বরং উল্টো তাকে উজ্জীবিত করেছেন। কাব্যচর্চায় দারুণভাবে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করেছেন। বলা চলে রেহানা হক তৃপ্তির হাত ধরেই মোস্তাফিজুল হকের এই উত্থান ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

রেহানা হক তৃপ্তির বুদ্ধিদীপ্ত নিরন্তর আনুকূল্য এবং নিবিড় পরিচর্যার কারণেই মোস্তাফিজুল হকের কাব্যজগতে পথচলা সুগম হয়েছে, বেগবান হয়েছে এবং ভবিষ্যতে উন্নতির শীর্ষ চূড়ায় আরোহন করার সম্ভাবনাও উজ্জ্বলতর হয়েছে। রেহানা হক তৃপ্তি মোস্তাফিজুল হকের কল্যাণকামী স্ত্রী। তার দৈনন্দিন জীবনের নিষ্ঠাবান ছায়াসংগী। তার কাব্যজীবনে সবচেয়ে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তারকারী একজন যোগ্যতম মহিলা।

আজ তাই, আমি মোস্তাফিজুল হকের জন্মদিনে,মোস্তাফিজুল হক এবং তার স্ত্রী রেহানা হক তৃপ্তি উভয়কে আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং শুভকামনা জানাই।

লেখক : কবি, ছড়াকার ও অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার, শেরপুর।

কবি মুস্তাফিজুল হকের জন্মদিনে দুটি কথা : বিপ্লব সাহা

আজকের এই বিশেষ দিনে আমরা আমাদের প্রিয় ব্যক্তিত্ব, মুস্তাফিজুল হক সাহেবের জন্মদিন অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সাথে উদযাপন করছি। তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত আমাদের জন্য এক অনুপ্রেরণা।
মুস্তাফিজুল হক সাহেব তার কর্মজীবনে সততা, নিষ্ঠা ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে সমাজের জন্য অসামান্য অবদান রেখেছেন। তার জ্ঞান, নেতৃত্ব এবং মানবিক গুণাবলী আমাদের জীবনে আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে।
তার জন্মদিনে আমরা তার দীর্ঘায়ু, সুস্বাস্থ্য এবং সুখসমৃদ্ধ জীবনের জন্য শুভকামনা জানাই। তিনি যেন আরও অনেক বছর আমাদের মাঝে থেকে সমাজ ও দেশের কল্যাণে কাজ করতে পারেন, এই প্রার্থনা করি।
শুভ জন্মদিন, স্যার মুস্তাফিজুল হক সাহেব!

লেখক : কবি ও বিশ্লেষক।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!