এইচএসসি পাশ করা মেয়ে সিমু আক্তার (১৯)। প্রেমের টানে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন তার এক নিকটাত্মীয়কে। কিন্তু সিমুর পিতা এ বিয়ে মানতে নারাজ। তাই তিনি মেয়ের জামাতাসহ ওই পরিবারের ৪ জনকে অভিযুক্ত করে শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ দাখিল করেন। আদালত ভিকটিমকে উদ্ধারপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নকলা থানা পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করেন।
পরবর্তীতে পুলিশি ঝামেলা এড়াতে স্বামীকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হন সিমু। কিন্তু পালিয়ে আর কতদিন। অবশেষে ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে সিমু স্বেচ্ছায় হাজির হন নকলা থানায়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) সিমু জানান, আমি প্রাপ্তবয়স্কা। কেউ আমাকে অপহরণ করেনি। আমি একজনকে ভালবেসে নিজ ইচ্ছায় তাঁকে বিয়ে করে সুখে-শান্তিতে সংসার করছি। ঘটনাটি শেরপুরের নকলা উপজেলা গণপদ্দী ইউনিয়নের পিপড়ীকান্দি গ্রামের। সিমু স্থানীয় রহুল আমিনের মেয়ে।
জানা যায়, সিমুর বড়ভাই মনিরুজজ্জামানের বিয়ে হয় উরফা ইউনিয়নের লয়খা গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ের সাথে। নজরুল ইসলামের এক ছেলের নাম মিস্টার মিয়া (২২)। আত্মীয়তার সুবাদে মিস্টারের যাতায়াত ছিল সিমুদের বাড়িতে। সেই সূত্র ধরে দু’জনের মধ্যে মন দেওয়া-নেওয়া। তারপর গত ৪ নভেম্বর বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে সিমু বিয়ে করেন তার ভালবাসার মানুষ মিস্টারকে। কিন্তু এ বিয়ে মানতে পারেননি সিমুর বাবা রহুল। তিনি জামাতা মিস্টারসহ তার পরিবারের ৪ জনকে অভিযুক্ত করে শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ দাখিল করেন। পরবর্তীতে আদালত ভিকটিমকে উদ্ধারপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নকলা থানা পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, ১২ ডিসেস্বর বৃহস্পতিবার সকালে সিমু নিজ ইচ্ছায় থানায় হাজির হন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, আদালতে তার বাবার দাখিল করা অপহরণের অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি প্রাপ্তবয়স্কা এবং তার ব্যক্তিগত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তার রয়েছে। মিস্টারকে ভালবেসে নিজ ইচ্ছায় বিয়ে করেছেন তিনি। পরে সিমুকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।