অর্থপাচারের অভিযোগে করা মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ডের রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। ৫ ডিসেম্বের বৃহস্পতিবার বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই ঘোষনা করেন।
![Shamol Bangla Ads](https://shamolbangla24.com/wp-content/uploads/2024/01/Ad-1-scaled.jpg)
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আাইনজীবী ওমর সাদাত ও সাব্বির হামজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
গফরগাঁওয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিটিএল ও গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলী নেদারল্যান্ডসের একটি ঠিকাদারি কোম্পানির বাংলাদেশের এজেন্ট ছিলেন। ওই কোম্পানি রেলওয়ের সিগন্যালিং আধুনিকীকরণের টেন্ডার পায়।
![Shamol Bangla Ads](https://shamolbangla24.com/wp-content/uploads/2024/01/Ad-2-scaled.jpg)
কিন্তু ২০০৩ সালে কার্যাদেশ চূড়ান্ত করার সময় গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ওই কাজের বিপরীতে অবৈধ কমিশন দাবি করেন। নতুবা কার্যাদেশ বাতিলের হুমকি দেন। এরপর শাহজাদ আলী ২০০৪ সালে ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা মামুনের লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকের হিসাবে জমা করেন। ওই মামলায় ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন। এ ছাড়া ১২ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
রায়ে লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকের হিসাবে থাকা ৪৪ হাজার ৬১০ দশমিক শূন্য ৮ ব্রিটিশ স্টার্লিং (বাংলাদেশি টাকায় ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা) বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন।
সাবেক মন্ত্রী আনিসুল-কামরুল রিমান্ডে
পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন মামুন। ২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। চলতি বছরের ৬ আগস্ট তিনি কারামুক্ত হন।
![](https://shamolbangla24.com/wp-content/uploads/2023/11/final01.gif)