সুপ্রিম কোর্টে নজিরবিহীন ঘটনা ও জেলা আদালতে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগের কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
গতকাল বুধবার ২০১৬ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে মন্তব্যের জেরে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে হট্টগোল ও একপর্যায়ে সংশ্লিষ্ট বিচারপতিকে লক্ষ্য করে ডিম ছুঁড়ে মারার ঘটনা ঘটে। এরপর বিচারপতি এজলাস থেকে নেমে যান। বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিচার কাজ চলা অবস্থায় বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের রুমের সামনে লিখে দেওয়া হয় ‘হাসিনার দোসর’। তার নেম প্লেট মুছে দেওয়া হয় রং দিয়ে।
সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি গতকাল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে যে নজিরবিহীন অনপ্রিভেপ্রেত ঘটনাবলি সংঘটিত হয়েছে এবং একই সাথে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণসহ দেশের জেলা আদালতসমূহে সাম্প্রতিক সময়ে যে সকল অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থতির সৃষ্টি হয়েছে- সে সকল বিষয় সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।’
এতে বলা হয়, ‘দেশের আদালতসমূহ যাতে বিচারপ্রার্থীদের নির্বিঘ্নে বিচারসেবা প্রদান করতে পারে সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সামগ্রিক বিষয়াবলি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং এই মর্মে আশ্বস্ত করছে যে সমস্ত প্রতিকূলতা ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিত সত্ত্বেও দেশের আদালতসমূহে বিচারসেবা প্রদান অব্যাহত রয়েছে। প্রধান বিচারপতি দেশের আদালতগুলোতে এরূপ পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি রোধ করতে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং দেশের সকল আদালত ও ট্রাইব্যুনালকে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রেখে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে বিচারপ্রার্থী জনগণকে বিচারসেবা প্রদানের ধারা অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন।’