আলোক স্বল্পতার কারণে তৃতীয় দিনের খেলা নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়েছে। বাংলাদেশের ইনিংসের ৯৮তম ওভার শেষ হওয়ার পর আলোক স্বল্পতার কারণে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে দেন দুই আম্পায়ার। মাঠ ছাড়ার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ২৬৯ রান, এখনও পিছিয়ে ১৮১ রানে। ক্রিজে আছেন তাসকিন এবং শরিফুল।
অ্যান্টিগায় ৯ উইকেটে ৪৫০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিল স্বাগতিকরা। জবাবে দ্বিতীয় দিনের শেষ বেলায় দুই ওপেনারকেই হারায় সফরকারী বাংলাদেশ। ৪০ রানে দিন শেষ করার পর তৃতীয় দিনের শুরু করেন দুই অপরাজিত ব্যাটার মুমিনুল হক ও শাহাদাত হোসেন দিপু। প্রথম ঘণ্টাও টিকতে পারেননি শাহাদাত। লিটন দাস উইকেটে আসার পর খানিকটা লড়াইয়ে ফেরে বাংলাদেশ। মুমিনুলের সাথে গড়েন ৬২ রানের জুটি। তবে উইকেটে থিতু হয়েও ফিরেছেন লিটন। জোসেফের বল স্টাম্পে টেনে বোল্ড হয়েছেন ব্যক্তিগত ৪০ রানে।
এর আগে জেইডেন সিলসের ভেতরে ঢোকা বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন ফিফটি ছোঁয়া মুমিনুল। মিরাজ ফিরেছেন আলজারি জোসেফের বাউন্সারে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে। বাংলাদেশের ফলো-অনে পড়া একরকম অবধারিতই ছিল। শামার জোসেফ-আলজারি জোসেফ-কেমার রোচদের তোপে রীতিমতো কোণঠাসাই ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। সেই বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে তোলেন জাকের-তাইজুল জুটি। দুজনের ৬৮ রানের জুটিতে ফলো-অন থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশ।
তাইজুলের বিদায়ের পর হাসান মাহমুদকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন জাকের আলি। তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। তবে অর্ধশতক তুলে নেওয়ার পর আর বেশি সময় ক্রিজে থাকতে পারেননি জাকের। ৮৯ বলে ৫৩ রান করে জাস্টিন গ্রিভসের বলে ডিপ মিড উইকেটে জেইডেন সিলসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান জাকের। তার বিদায়ে ২৪৮ রানে ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। জাকের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন তাসকিন । ফলো-অন এড়ানোর জন্য দরকার ছির ৫ রান। ৫ রান তুলে নিয়ে বাংলাদেশের ফলো-অন এড়ায় এই জুটি। তবে ফলো-অন এড়িয়ে নিজেদের জুটিকে আর বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি তারা। দলীয় ২৫৭ রানে হাসান মাহমুদ ফিরে গেলে ভেঙে যায় এই জুটি।
হাসানের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন শরিফুল ইসলাম। তাসকিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলাম মিলে দিনের বাকি খেলা শেষ করেন। তাতে ৭৮ ওভার ব্যাট করে দিন শেষে বাংলাদেশ তুলেছে ৯ উইকেটে ২৬৯ রান। দিন শেষে উইকেটে ১১ রানে ছিলেন তাসকিন আহমেদ ও ৫ রানে অপরাজিত শরিফুল আহমেদ। ১৮১ রানে পিছিয়ে থেকে সোমবার তৃতীয় দিনের লড়াই শুরু করবে বাংলাদেশ।