শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত ৩ হাজার কৃষকের মাঝে বীজ ও ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর মালিকদের মাঝে পোনা মাছ বিতরণ করেছে ব্রাক মাইক্রো ফাইন্যান্স। ২৫ নভেম্বর সোমবার সকালে রামেরকুড়াস্থ ঝিনাইগাতী উপজেলা ব্র্যাক কার্যালয়ে ওই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক মাইক্রোফাইনান্সের ডেপুটি প্রোগ্রাম হেড রাজেশ কুমার সাহা।
ওইসময় তিনি বলেন, কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নে যে কোন সহযোগিতা দিতে ব্র্যাক সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা নিজেদের কোন জমি অনাবাদি রাখবেন না। নিজের এবং সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য বড় করে স্বপ্ন দেখবেন। স্বপ্নের এই অগ্রযাত্রায় ব্র্যাককে আপনাদের পাশে পাবেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় ঝিনাইগাতী উপজেলার কৃষকদের আমন আবাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। আমাদের আয়ের প্রধান খাত এই কৃষি। মাঠের ফসল হারিয়ে দিশেহারা কৃষকরা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আসছে বোরো মৌসুমে আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ব্র্যাকের পক্ষ থেকে ২ হাজার কৃষককে ২ কেজি করে উন্নত জাতের ধানের বীজ, ১ হাজার কৃষককে সরিষা বীজ ও ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষীর মাঝে মাছের পোনা বিতরণ করা হল।
তিনি আরও বলেন, চলতি মৌসুমে ময়মনসিংহ, শেরপুর ও নেত্রকোনার প্রায় ৪০ হাজার কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে ব্র্যাক। এছাড়া বন্যাকালীন এ অঞ্চলের প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে জরুরী খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে ৪ হাজার ৩২ জনকে বাসস্থান নির্মাণ ও জরুরি স্বাস্থ্য সেবার জন্য ৩ কোটি ৬০ হাজার টাকা সঞ্চয় ফেরত সুবিধা দেওয়া হয়েছে। বন্যাপরবর্তী সময়ে কৃষি পুনর্বাসনের জন্য কাজ করছে ব্র্যাক। আক্রান্ত অঞ্চলের ৩৯ টি শাখার প্রায় আড়াইশ ব্র্যাক কর্মী নিয়োজিত রয়েছে এ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য।
ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্সের প্রোগ্রাম ম্যানেজার নুর এ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক আব্দুল মালেক, এলাকা ব্যবস্থাপক
মো. রফিকুল ইসলাম, শাখা ব্যবস্থাপক (বিসিইউপি) আবুল কাশেম, শাখা ব্যবস্থাপক (দাবি) মো. ইসমাইল হোসেন, সহকারী এলাকা ব্যবস্থাপক (প্রগতি) উজ্জল কুমার দাস প্রমুখ।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে স্থানীয় কৃষাণ-কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন। এদিকে ব্র্যাকের দেয়া বীজ ধান পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা।