শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মানসিক ভারসাম্যহীন নাতনি সুরাইয়া আক্তার (৬) কে নিয়ে বিপাকে রয়েছেন নানী আমেনা খাতুন। অর্থাভাবে সঠিক চিকিৎসা করতে না পেরে সুরাইয়াকে পায়ে দড়ি দিয়ে রাখতে হচ্ছে।
জানা যায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের সমশ্চুড়া গ্রামের মৃত সমর আলীর মেয়ে আমেনা খাতুন সমশ্চুড়া গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা। আমেনা খাতুন শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু তার বড় মেয়ের ঘরের মানসিক ভারসাম্যহীন নাতনি সুরাইয়া আক্তারকে নিয়ে রয়েছেন চরম বিপাকে। সুরাইয়ার পিতা সুজন মিয়া ও মাতা হাসিনা ঢাকায় থাকেন। সুজন মিয়া ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করেন। তিনিও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। সুজন মিয়া শারীরিক সমস্যার কারণে নিয়মিত প্রতিদিনই কাজে যেতে পারেন না। এতে যা আয় হয় তা দিয়ে তাদেরই দিন চলা কঠিন। তাই মানসিক ভারসাম্যহীন নাতনি সুরাইয়াকে নিয়ে আমেনা খাতুন রয়েছে চরম বিপাকে।
সুরাইয়া সার্বক্ষণিক ছোটাছুটি করায় তাকে রেখে কোথাও কাজে যেতে পারেন না আমেনা খাতুন। পায়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখতে হয় তাকে। তবুও দড়ি বাঁধা অবস্থায় সুরাইয়া সার্বক্ষণিক ছোটাছুটি করে। ফলে আমেনা খাতুন নাতনি কে নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছেন। অন্যের দ্বারে দ্বারে হাত পেতে বাঁচতে হচ্ছে আমেনা খাতুনকে। টাকা-পয়সার অভাবে নাতনি সুরাইয়ার চিকিৎসাও করাতে পারছেন না।
চিকিৎসক বলেছেন, সঠিকভাবে চিকিৎসা করা হলে সুরাইয়া সুস্থ হয়ে উঠবে। কিন্তু আর্থিক সংকটে চিকিৎসা করতে পারছেন না তার নানি। বিষয়টি জানতে পেরে শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার সুরাইয়ার চিকিৎসার জন্য ৫ হাজার টাকা তুলে দেন সুরাইয়ার নানী আমেনা খাতুনের হাতে। পরে সিভিল সার্জন ডা. জসিম উদ্দিনের সহায়তায় শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সুরাইয়াকে। বর্তমানে সুরাইয়ার নানি আমেনা খাতুন নাতনি সুরাইয়াকে নিয়ে শেরপুর সদর হাসপাতালের ৪ তলায় শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা করাচ্ছেন।
তবে চিকিৎসার ব্যয়ভার মেটাতে রয়েছে আর্থিক সংকট। সুরাইয়ার চিকিৎসার জন্য তার নানী আমেনা খাতুন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দেশের বিত্তবান ব্যক্তি/সামাজিক সংগঠনের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন করেছেন। আমেনা খাতুনকে সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন (মোবাইল-০১৮২০-৫১৮৬৬০)।