ads

বৃহস্পতিবার , ৭ নভেম্বর ২০২৪ | ৩০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

প্রয়োজনীয় সব সংস্কারে প্রস্তুত সরকার, সবার চাহিদা-পরামর্শ চান ইউনূস

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
নভেম্বর ৭, ২০২৪ ৭:৩২ অপরাহ্ণ

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বিপ্লবের ফসল আমাদের অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় সব সংস্কার করতে, এর উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির সব প্রয়াস নিতে প্রস্তুত আছে। এই কাজে নিবেদিত সবার কাছ থেকে চাহিদা ও পরামর্শ চাই।

Shamol Bangla Ads

৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য’ শীর্ষক শতবর্ষ উদ্‌যাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগ এবং বোস সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডি অ্যান্ড রিসার্চ ইন ন্যাচারাল সায়েন্সেস যৌথভাবে দুই দিনব্যাপী উদ্‌যাপনের আয়োজন করেছে।

সংস্কারের বিষয়ে দৃঢ়তা প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নিজের আস্থা থাকলে এটি আমরা পারব, কেন পারব না? যেমন সত্যেন্দ্রনাথ বসুর আস্থা ছিলে বলেই তিনি সম্পূর্ণ অপরিচিত হয়েও আইনস্টাইনকে চিঠি লিখতে পেরেছিলেন। সব সময় যেন আমাদের বিশ্বের কাছে যেতে না হয়, বিশ্ব যেন আমাদের কাছে আসে। আমাদের তরুণদের মনে বিশ্বাস সৃষ্টি করতে হবে যে তারাই বিশ্ব। আজ আমরা সেই আকাঙ্ক্ষারই শতবার্ষিকী পালন করছি।

Shamol Bangla Ads

পঞ্চাশের দশকের ঢাকার সঙ্গে বসুর ঢাকারই মিল বেশি ছিল উল্লেখ করে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, সেই শান্ত শহরকে, সেই সবুজ রমনাকে আর ফেরত আনা যাবে না, কিন্তু সেই গৌরবের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা অবশ্যই ফেরত আনতে পারি, আজকের নতুন বাংলাদেশে। বোস-আইনস্টাইন তত্ত্বের শতবার্ষিকীতে এ কথা আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই।

তিনি বলেন, বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষক সমাজ তাঁদের চিন্তার স্বাধীনতা, মুক্তবুদ্ধির চর্চাকে আবার ফিরে পেয়েছেন। এর সঙ্গে এখন বিশ্ব-বিজ্ঞানে অবদান রাখার সক্ষমতাকেও যোগ করতে হবে। আকাঙ্ক্ষাকে উচ্চে রেখে দৈনন্দিন পঠন-পাঠন গবেষণার মাধ্যমেই সেটি অর্জিত হয়। ১৯২৪ সালে বসুর আবিষ্কারের পরিবেশ ওভাবে গড়ে উঠেছিল, আজও সেভাবেই গড়ে উঠবে। এর কোনো বিকল্প নেই। বিদ্যার জগতের সবাইকে ওতে আহ্বান জানাই।

বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু ১৯২৪ সালের বোস-আইনস্টাইন কোয়ান্টাম স্ট্যাটিসটিকসের আবিষ্কারের জন্য বিজ্ঞান ইতিহাসের অংশ হয়ে গিয়েছিলেন উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি এটি করেছিলেন আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নবীন অধ্যাপক হিসেবে, কার্জন হলের একটি কামরায় বসে। আজও যেটি পদার্থবিদ্যার ছাত্র-শিক্ষকদের প্রাণচাঞ্চল্যে মুখরিত। আবিষ্কারের গুরুত্বের কারণে পৃথিবীর নানা দেশের পদার্থবিদগণ এই শতবার্ষিকী উদ্‌যাপন করছেন। কিন্তু আমাদের জন্য এই আবিষ্কারের মর্মটাই আলাদা। পদার্থবিদেরা বলেন, বিংশ শতাব্দীর ওই পর্যায়ে পদার্থবিদ্যায় যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছিল কোয়ান্টাম থিওরির মাধ্যমে, এটি ছিল তার মধ্যে একটি বড় সংযোজন। এর মাধ্যমে বসু বিশ্ববিজ্ঞানের মানচিত্রে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, আমাদের ঢাকা নগরীকে উজ্জ্বলভাবে চিহ্নিত করে দিয়েছিলেন।

ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে নতুনভাবে গড়ার প্রয়াসের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে তার যথাযথ চর্চার জায়গায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছি, তখন পরিবর্তনের দিগদর্শিকা হিসেবে উদ্‌যাপনের জন্য বসুর আবিষ্কারের এই শতবার্ষিকীর থেকে যথাযথ বিষয় আর কী হতে পারে? আমাদের বিপ্লবের নায়ক ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রেরণা হিসেবেও বা এর থেকে বড় গৌরবের স্মরণও আর কী হতে পারে? এই উপলক্ষে আয়োজিত আপনাদের এই বিজ্ঞানসভায় আমাকে দুটি কথা বলার জন্য আমন্ত্রণ করায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যেসব খ্যাতনামা বিজ্ঞানী বোস-আইনস্টাইন তত্ত্বের অগ্রগতির ওপর বিশ্বময় কাজ করছেন, তাঁদের কয়েকজন আমাদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এবং সত্যেন্দ্র নাথ বসুর আবিষ্কার-স্থানটির প্রতি তাঁদের আগ্রহের পরিচয় দিয়ে এই সম্মেলনে শরিক হয়েছেন; তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। মনে রাখতে হবে, এ সময় এই আবিষ্কারের উদ্‌যাপন দুনিয়ার অন্যত্রও ঘটছে, তাঁরা আমাদের সম্মেলনে এসেছেন। বসুর কীর্তির ঢাকা শহরে, বিপ্লবের পুনর্জাগরণের ঢাকা শহরে, তাঁদের স্বাগতম।

বোস-আইনস্টাইন কোয়ান্টাম স্ট্যাটিসটিকস থিউরির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বিশ্ববিজ্ঞানে প্রতিষ্ঠিত বসু কিন্তু ঢাকা থেকে হারিয়ে যাননি। বাকি সময় এখানে কাটালেন গবেষণায় ও নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা বিভাগের কান্ডারি হিসেবে বিভাগের উন্নয়নে। আনলেন বহু সুযোগ্য সহকর্মী, তাত্ত্বিক মানুষ হয়েও নিজের হাতে ল্যাবরেটরি গড়ার কাজে মন দিলেন। অনেক যন্ত্র নিজেই তৈরি করেছেন—শুনেছি তার কিছুর ভগ্নাংশ এখনো কার্জন হলে আছে। আর তিনি রইলেন আমাদের ঢাকা শহরের হয়ে—সেদিনের ছোট্ট সাদামাটা ঢাকা শহরের। এখানে তিনি শুধু কঠিন তাত্ত্বিক বিজ্ঞানী ছিলেন না, ছিলেন শহরের সংস্কৃতিমান গণ্যমান্য নাগরিক, যিনি তাঁর এসরাজ বাজানোর জন্যও কদর পেতেন।

সর্বস্তরসহ উচ্চতর বিজ্ঞান শিক্ষায় বাংলা ভাষা প্রচলনের জন্য তর্ক-বিতর্ক করছেন বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলায় বই লিখছেন, পত্রিকা বের করছেন, নিজের পাঠদানে বাংলা ব্যবহার করছেন। শহরের সাহিত্যানুরাগী সংস্কৃতিসেবীদের কয়েকজনকে নিয়ে নিয়মিত বৈঠকি-আড্ডা গড়ে তুলেছেন। সেদিনের বৃক্ষশোভিত সবুজ রমনায় যে বহু লাল ইটের টালির ছাদের বাড়ি ছিল, সবাই চিনত কার্জন হলের পাশে তারই একটা বোস সাহেবের। কেন জানি ঢাকার সাধারণ মানুষ তাঁকে বোস সাহেব বলেই ডাকত। মাঝে মাঝে একটি ঘোড়ার গাড়ি এসে থামত, তখন ওটিই ঢাকার প্রধান যানবাহন; সপরিবারে বোস সাহেব যেতেন নওয়াবপুরে মুকুল থিয়েটারে নাটক দেখতে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!