শারজায় সাত মাস পর ওয়ানডে সংস্করণে ম্যাচ খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ দল। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির ভিড়ে ৫০ ওভারের ম্যাচে লম্বা একটা বিরতি ছিল তাদের। তবে প্রিয় সংস্করণে তাসকিন আহমেদ-মোস্তাফিজুর রহমানরা বোলিং করেছেন চেনা ছন্দেই। শুরুতেই আফগানিস্তানের টপ অর্ডার এলোমেলো করে দিয়েছেন তাঁরা। মাঝে মোহাম্মদ নবী ও হাসমতউল্লাহ শাহিদির দারুণ দারুণ প্রতিরোধ। যার কল্যাণে বাংলাদেশকে ২৩৬ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে তারা।
স্কোরে ৩৫ রান যোগ করতেই ৪ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। মাঝের ওভারে বাংলাদেশের বোলাররা সেই চাপ ধরে রাখতে পারেননি। শুরুর ধাক্কা সামলে নবী ও অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ করেছেন ফিফটি। ৪৯.৪ ওভারে ২৩৫ রানে থামে আফগানদের ইনিংস।
শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের প্রথম ওয়ানডের টস হতেই দারুণ রেকর্ড। প্রথম ভেন্যু হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩০০ তম ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করল স্টেডিয়ামটি। তপ্ত মরুর বুকে বাংলাদেশের পেসারদের তোপ দাগানো বোলিংয়ে আফগানিস্তানের ব্যাটাররা রীতিমতো চোখে সর্ষে ফুল দেখছেন শুরুতে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে রহমানউল্লাহ গুরবাজের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে নামেন অভিষিক্ত সেদিকউল্লাহ আতাল। তবে তাসকিনের তোপেরমুখে ৭ রানেই ভেঙে যায় এ জুটি। দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে যান গুরবাজ (৫)। আউটসাইড এজ হওয়া বল ক্যাচ ধরেন বাংলাদেশ উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম।
তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন রহমত শাহ। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত আতাল ব্যাটিং করতে থাকেন ধীরেসুস্থে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রহমত-আতাল যোগ করেন ৩৩ বলে ২৩ রান। অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে রহমতকে (২) ফিরিয়ে জুটির ভাঙন ধরান মোস্তাফিজ।
এক ওভার বিরতিতে এসে মোস্তাফিজ দিয়েছেন জোড়া ধাক্কা। দশম ওভারের দ্বিতীয় ও পঞ্চম বলে বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার ফিরিয়েছেন আতাল ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে (০)। ১ উইকেটে ৩০ রান থেকে মুহূর্তেই ৪ উইকেটে ৩৫ রানে পরিণত হয় আফগানরা। আতাল ৩০ বলে ৩ চারে ২১ রান করে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন।
পঞ্চম উইকেটে হাসমতউল্লাহ ও গুলবাদিন নাইব জুটি বড় করার চেষ্টা করেন। ২০ তম ওভারে গুলবাদিনকে (২২) ফিরিয়ে দলকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন তাসকিন। ৭১ রানে ৫ উইকেট হারায় আফগানরা। ষষ্ঠ উইকেটে হাশমাতউল্লাহ ও নবীর ১২২ বলে ১০২ রানের সৌজন্যে বিপর্যয় সামলে ওঠে তারা।
দলীয় ১৭৫ রানে মোস্তাফিজের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন হাসমতউল্লাহ। ৯১ বলে খেলেছেন ৫২ রানের কার্যকর এক ইনিংস। ইনিংসে ছিল মাত্র ২টি চার। রানের গতি বাড়িয়ে সেঞ্চুরির দিকে ছুটছিলেন নবী। তবে ৪৮ তম ওভারে তাসকিনে বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় ৭৯ বলে ৮৪ রানে। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজিয়েছেন ইনিংসটি। শেষ দিকে নাঙ্গেলিয়া খারোটের অপরাজিত ২৭ রানের কল্যাণে স্কোরটা হয় ২৩৫। তাসকিন ৫৩ রান দিয়ে ৪টি ও মোস্তাফিজ ৫৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪টি উইকেট।