সংবিধান সংস্কারে গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারই বাস্তবায়ন করবে বলে মন্তব্য করেছেন কমিটির সদস্য ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ কারা বাস্তবায়ন করবে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। তবে আমাকে যদি ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ধরেন, তাহলে আমি বলতে পারি অবশ্যই অবশ্যই এ সরকারই বাস্তবায়ন করবে। কেন করবে না?’
৩ নভেম্বর রবিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন কমিটির সদস্য ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমিশন প্রধান আলী রীয়াজ। পরে তিনি ও মাহফুজ আলম সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মাহফুজ আলম বলেন, ‘সংবিধানের বিষয়ে যে প্রশ্নটা এসেছে সেটা যেদিন এক দফা ঘোষণা হয়েছিল, ওই দিনই বাতিল হয়েছে। কারণ, সেখানে বলা হয়েছিল পুরোনো রাজনৈতিক সেটেলমেন্ট আমরা খারিজ করছি, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চাই। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত মানেই হচ্ছে নতুন সংবিধান। ওই দিনই বলা হয়ে গেছে। ওইটা শুনেই বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলনে নেমেছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অনির্বাচিত হতে পারি, কিন্তু আমরা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করি। পুরো দুনিয়ার কোথায় শিক্ষার্থীরা সরাসরি সরকারে যায়নি, আন্দোলন করেছে সরকারে গেছে—এমন হয়নি। কিন্তু এটা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) একটা এক্সট্রা অর্ডিনারি পরিস্থিতি। এখানে সংসদ, নির্বাচন, নির্বাচিত শব্দগুলো খুবই দুর্বল কথাবার্তা। আমি জানি না এ সরকারের ক্ষেত্রে এগুলোর কী তাৎপর্য আছে।’
সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব সরকার কীভাবে বাস্তবায়ন করবে, এমন প্রশ্নের জবাবে—মাহফুজ আলম বলেন, ‘কমিশন গঠনের সময় আমরা অধিকাংশ রাজনৈতিক দলকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। কমিশন থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পরেও তাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে কার্যকর করা হবে। সেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ থাকবে।’
সংস্কার কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের কার্যক্রম চলার সময় যেন কোনো রাজনৈতিক চাপ না আসে, সে জন্য আলোচনায় না বসে তাদের কাছ থেকে লিখিত সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা নেবে। সংবাদ সম্মেলনে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন।