শেরপুরে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ। এতে আতঙ্কিত হয়ে উঠছেন আক্রান্ত এলাকার লোকজন। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়া জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে প্রতিদিন সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
জেলা সদর হাসপাতাল সূত্র জানায়, ৩ নভেম্বর রবিবার বিকেল পর্যন্ত এ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৩ জন রোগী। আর গত এক মাসে এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭৮ জন রোগী। এছাড়া অন্য হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া না গেলেও ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একই সময়ে চিকিৎসা নিয়েছেন আরও ৮ জন রোগী। তারা সবাই ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী রোগী ছিলেন।
এদিকে জেলা তথ্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল খায়ের জানান, ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে প্রতিদিন জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে সচেতনতামূলক প্রচারণা চলছে। ওই প্রচারণার অংশ হিসেবে প্রতিদিন জেলা ও উপজেলা সদরগুলোতে মাইকিং এবং বিভিন্ন হাট-বাজারে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এ রোগের প্রাদুর্ভাব না কমা পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।
জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. সেলিম মিঞা জানান, শেরপুরে আক্রান্ত রোগীদের সবাই ডেঙ্গু রোগী। এখনও চিকনগুনিয়ার কোন রোগী পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ড না থাকলেও পৃথক রুমে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, যারা ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন তাদের প্রায় সবাই ঢাকা থেকে জীবাণু বহনকারী এলাকায় ফেরা রোগী। সবার চিকিৎসাই ঠিকমতো চলছে। ঔষধপত্রেরও কোন সঙ্কট নেই। তবে কারও অবস্থা জটিল হলে তাকে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তদের মধ্যে কারও মৃত্যু হয়নি।