শেরপুরের নকলায় পুলিশের কথা বিশ্বাস করে ১০ হাজার টাকা খুইয়েছেন সামছুদ্দোহা সোহেল নামে এক নগদ ব্যবসায়ী। ২৭ অক্টোবর রবিবার দুপুরে নকলা থানার প্রধান ফটকের সামনে পাকা সড়কের পাশে সায়মা স্টোরে ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ সদস্যের নাম আব্দুল বারেক। তিনি নকলা থানায় কর্মরত আছেন।
সায়মা স্টোরের মালিক নগদ ব্যবসায়ী সামছুদ্দোহা সোহেল জানান, রবিবার বেলা ২টা ৪৮ মিনিটের দিকে নকলা থানায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য আব্দুল বারেক আমার দোকানে আসেন। তারপর তিনি আমাকে তার (আব্দুল বারেক) ০১৭২৫৪২৭৮০৫ মোবাইল নম্বরে কল করা একটি মোবাইল নম্বর (০১৭০৯৩৬৯৪৭৭) দেখিয়ে বলেন নকলার ইউএনও স্যার আপনাকে এখনই এই নম্বরে ১০ হাজার টাকা নগদ পাঠাতে বলেছেন। তখন ওই পুলিশ সদস্য আমার দিকে তার ফোনটা বাড়িয়ে দিয়ে আমাকে কথা বলতে বলেন। ফোনে নিজেকে নকলার ইউএনও পরিচয় দিয়ে ওই ব্যাক্তি জানান, আপনি জরুরি এই নম্বরে ১০ হাজার টাকা নগদ পাঠান। ৫ মিনিট পর তিনি (পুলিশ সদস্য) আপনাকে টাকাটা দিয়ে যাবেন। আমি সরল বিশ্বাসে ওই নম্বরে ১০ হাজার টাকা নগদ পাঠিয়ে দেওয়ার পর জানতে পারি সেটি ইউএনও’র নম্বব নয়। পরে যোগাযোগের চেষ্টা করলে মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাই। বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানিয়েছি।
ঘটনার বিষয়ে পুলিশ সদস্য আব্দুল বারেক মুঠোফোনে এ প্রতিনিধিকে জানান, ওসি স্যার সবকিছু অবগত আছেন। আপনি তার সাথে কথা বলেন। নকলা থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, আমি বিষয়টি নিয়ে নগদ অফিসে কথা বলেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপ জন মিত্র জানান, আমার এ ধরণের সরকারি বা ব্যাক্তিগত মোবাইল নম্বর নেই। এটা কোন প্রতারকচক্রের কাজ। বর্তমানে প্রতারক চক্ররা নানা কৌশলে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে মানুষের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ বিষয়ে সকলের সচেতন হওয়া দরকার।