শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সোমেশ্বরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। ২৭ অক্টোবর রবিবার বিকেলে উপজেলার তাওয়াকোচা এলাকায় ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টাব্যাপি ওই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মহসিন আলী, আব্বাস আলী, আব্দুর রহিম, ইয়াসিন আলী, মোরশেদ আলী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সোমেশ্বরী নদীর তাওয়াকোচা এলাকায় ৭ একর জমি থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি পায় ইজারাদার আক্তার হোসেন। ওই জমিতে কোন বালু নেই। ইজারাদারের লোকজন লিজ এলাকার বাইরে খাড়ামুড়া, রাঙ্গাজান, বালিজুড়ি, হালুয়াহাটিসহ বিভিন্ন স্থানে ২ শতাধিক ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রতিদিন অবৈধভাবে অর্ধ কোটি টাকার বালু লুটপাট করে আসছেন। এসব অবৈধ বালু লুটপাটের বিষয়ে তারা দীর্ঘ দিন ধরে প্রতিবাদ করে আসছেন। মাঝে মধ্যে উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু অবৈধভাবে বালু লুটপাট বন্ধ হয়নি। ২৪ অক্টোবর উপজেলা প্রশাসন অবৈধ বালু লুটপাট বন্ধে অভিযান পরিচালনা করে। ওইসময় ২৫ ড্রেজার মেশিন ও পাইপ ভাংচুর করা হয়। এক বালু শ্রমিককে ৫ মাসের সাজাও দেয়া হয়।
জানা যায়, উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনার সময় বালুমহালের তাওয়াকোচা রাজস্ব আদায় ঘর বন্ধ করে লোকজন আত্মগোপন করে। অভিযান শেষে উপজেলা প্রশাসন চলে গেলে রাজস্ব আদায় ঘরে আসে ইজারাদারের লোকজন। ওই সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ক্ষতিগ্রস্ত ড্রেজার মেশিন মালিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে রাজস্ব আদায় ঘরে ইজারাদারের লোকদের উপর হামলা করে। এতে ২ জন আহত হয়। ওই ঘটনায় বালুমালের ইজারাদারের পক্ষ থেকে এক সাংবাদিকসহ ৮ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনকে আসামি করে থানা একটি মামলা দায়ের করা হয়।
বক্তারা বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের মামলার আসামি না করে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। পরে এলাকাবাসী ওই মামলা প্রত্যাহার ও অবৈধভাবে বালু লুটপাট বন্ধে দাবিতে এলাকাবাসী এ মানববন্ধন করে। বক্তারা অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অবৈধ বালু লুটপাট বন্ধের দাবি জানান। মানববন্ধনে এলাকার ২ শতাধিক নারী পুরুষ অংশ গ্রহণ করেন।