ads

মঙ্গলবার , ২২ অক্টোবর ২০২৪ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেফতার ব্যারিস্টার সুমন : ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
অক্টোবর ২২, ২০২৪ ১:২৩ অপরাহ্ণ

রাজধানীর মিরপুর থানায় দায়ের করা এক হত্যাচেষ্টার মামলায় হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২১ অক্টোবর দিবাগত রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সুমনকে আদালতে হাজির করে মিরপুর থানার পুলিশ।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার এসআই মো. আব্দুল হালিম মিরপুর-১০ নম্বরের ‘বাঙালিয়ানা ভোজ’ রেস্টুরেন্টের সহকারী বাবুর্চি হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে আদালতে হাজির করেন এবং ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন ব্যারিস্টার সুমনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

Shamol Bangla Ads

ব্যারিস্টার সুমনের পক্ষে রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন এবং রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। পরে শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে, আজ মঙ্গলবার ১টা ২০ মিনিটের দিকে মিরপুর থানার পুলিশ মিরপুর-৬ নম্বর এলাকা থেকে ব্যারিস্টার সুমনকে আটক করে। পরে তাঁকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর হৃদয় মিয়া মিরপুর থানায় এই মামলা দায়ের করেন। তিনি মিরপুর-১০ নম্বরের ‘বাঙালিয়ানা ভোজ’ রেস্টুরেন্টের সহকারী বাবুর্চি বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার ছাতিয়াইন ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি।

Shamol Bangla Ads

হৃদয় মিয়া মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ১৪ জুলাই থেকে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যোগ দিয়ে মিছিল-মিটিং করেন। গত ১৯ জুলাই দুপুরের পর মিরপুর-১০ নম্বর ফলপট্টি গলিতে তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মিছিলে ছিলেন। বেলা আড়াইটার সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। গুলিতে তাঁর ডান পায়ের হাঁটুর ওপরের চাকতি দুই ভাগ হয়ে যায়। এ সময় পাশের এক আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

মামলা এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, স্থানীয়রা তাঁকে নিয়ে পাশের একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনি বিএনপির নেতা, সে কারণে তাঁকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। পরে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। সুস্থ হয়ে তিনি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ঘটনার দিন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা লোহার রড, হাঁসুয়া, পিস্তল, রামদা ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ মিছিলকারীদের ওপর হামলা করেন। হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও ব্যারিস্টার সুমনসহ ৫০ জনকে আসামি করা হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করেন, ব্যারিস্টার সুমনকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি একজন ব্যারিস্টার বিধায় জিজ্ঞাসাবাদে একেক সময় একেক ধরনের কথা বলেছেন। কৌশলে প্রকৃত ঘটনা এড়িয়ে গেছেন।

তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনে আরও উল্লেখ করেন, গত জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করলেও ব্যারিস্টার সুমন আওয়ামী লীগের একজন উদীয়মান নেতা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের দমন-পীড়নে তিনি প্রকাশ্যে ও গোপনে নির্দেশ ও উসকানি দিয়েছেন। প্রকৃত ঘটনা জানতে এবং মামলার এজাহারনামীয় পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য ব্যারিস্টার সুমনকে রিমান্ডে নিয়ে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, গত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হঠাৎ রহস্যময় স্ট্যাটাস এবং এর কিছুক্ষণ পর একটি ভিডিও বার্তা দেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। নিজের ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড আইডি থেকে ব্যারিস্টার সুমন লেখেন, ‘আমি পুলিশের সঙ্গে যাচ্ছি। দেখা হবে আদালতে। দোয়া করবেন সবাই।’

ফেসবুকে পোস্ট লিখে জানানোর পাশাপাশি নিজের পেজ থেকে একটি ভিডিও বার্তাও দেন ব্যারিস্টার সুমন। ২ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে তিনি দাবি করেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সুযোগ থাকার পরও অনেকের মতো তিনি দেশ ত্যাগ করেননি। তিনি বলেন, ‘আমি দেশেই আছি, ঢাকা শহরেই আছি। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে আমি নিজের অবস্থান একটু গোপন রেখেছি।’

ভিডিও বার্তায় ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘দেশ সংস্কারে কাজ করার সুযোগ পেলে আমি কাজ করব। সংস্কারের অংশ হিসেবে এখন যাদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে, এ রকম অনেকের বিরুদ্ধে আমি মামলা করেছিলাম। এর শুরুটা আমিই করেছিলাম।’

এ সময় সংসদ সদস্য হিসেবে পাওয়া স্বল্প সময়কে দেশের মানুষের কল্যাণে ব্যয় করেছেন বলে জানান ব্যারিস্টার সুমন। রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে অনৈতিক কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়া কিংবা অবৈধ সম্পদ গড়েননি বলেও দাবি করেন সুমন।

ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, ‘আমার নামে কোনো মামলা হলে আমি যেহেতু আইনজীবী, তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আমার আছে। আমি আইনের মাধ্যমেই সেটি মোকাবিলা করব।’ তিনি দাবি করেন, নিজের নামে একটি গাড়ি ছাড়া তিনি কোনো সম্পদ করেননি। যেকোনো সংস্থা চাইলে তা তদন্ত করে দেখতে পারে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!