ads

সোমবার , ২১ অক্টোবর ২০২৪ | ১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

শ্রীবরদীতে কেটে ফেলা হচ্ছে শত বছরের পুরনো বটবৃক্ষ!

রেজাউল করিম বকুল
অক্টোবর ২১, ২০২৪ ৩:৪০ অপরাহ্ণ

কেটে ফেলা হচ্ছে শত বছরের পুরনো একটি বটবৃক্ষ। এতে প্রচন্ড রোদে আর কখনো বটবৃক্ষের নিচে বসে শীতল বাতাস পাবে না শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। ঘটনাটি শেরপুরের শ্রীবরদী সরকারি কলেজ মাঠের দেয়াল ঘেঁষে পুরনো এই বটবৃক্ষ। ২১ অক্টোবর সোমবার কলেজের পৃথক আরেকটি গেইটের অজুহাতে বিনা অনুমতিতে কেটে ফেলা হচ্ছে বটবৃক্ষটি। এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

Shamol Bangla Ads

শ্রীবরদী সরকারি কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী ও পথচারীসহ অনেকে জানান, শেরপুর-বকশীগঞ্জ সড়কের পাশে শ্রীবরদী সরকারি কলেজ মাঠের দেয়াল ঘেঁষে রয়েছে শত বছরের পুরোনো বটগাছটি। প্রচন্ড রোদে ওই বট বৃক্ষের নিচে বসে শীতল বাতাস পেতো শিক্ষার্থী ও পথচারীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। এখন কেটে ফেলা হচ্ছে সড়কের পাশে সৌন্দর্য বর্ধিত দাঁড়িয়ে থাকা ওই বটবৃক্ষটি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কোনো প্রকার নিয়মের তোয়াক্কা না করে কলেজের পৃথক আরেকটি গেইট নির্মাণের অজুহাতে শ্রীবরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর একেএম আলিফ উল্লাহ ১৫ হাজার ৪২৬ টাকা মূল্যে নিলামে বট গাছটি বিক্রি করেন। সোমবার বটগাছটির ডালপালা কাটা হচ্ছে। পরে কাটা হবে গোড়ালি। এতে বিলুপ্তি ঘটবে শ্রীবরদী পৌর শহরের কলেজ রোডের ঐতিহ্যবাহী শত বছর আগের বটগাছটির।

Shamol Bangla Ads

পরিবেশবাদীরা জানান, বৃক্ষটি রাস্তার পাশে। প্রচন্ড রোদে অনেকে এই গাছের নিচে ছায়ায় বসে থাকতো। তাছাড়া সৌন্দর্যের দিক থেকেও বৃক্ষটি অনেকটাই চোখে পড়ার মতো। এভাবে বৃক্ষটি একেবারে কেটে না ফেললেও হয়তো কলেজের গেইটের কোনো বাধা সৃষ্টি হতো না। তারা গাছটি কাটা বন্ধ করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, সড়কের পাশে থাকা বৃক্ষটি এলজিইডির। এটা কলেজ কর্তৃপক্ষ কিভাবে বিক্রি করেন- এ নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।

অন্যদিকে প্রাচীন বটবৃক্ষ কাটা প্রসঙ্গে শ্রীবরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর একেএম আলিফ উল্লাহ বলেন, কলেজের গেইট নির্মাণে বটগাছটির কারণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য বন বিভাগের কাছ থেকে পরিমাপ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মৌখিক অনুমতি সাপেক্ষে বৃক্ষটি বিক্রি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের স্বার্থে গাছটি কাটা হচ্ছে।

তবে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মশিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। বন বিভাগের বালিজুরি রেঞ্জ অফিসার সুমন মিয়া বলেন, বট বৃক্ষের কাঠের মূল্য কম। এটা সাধারণত লাকড়ি হেসেবে বিক্রি হয়। তাছাড়া বৃক্ষটির ৪০ শতাংশ ডালপালা মরে গেছে। এ জন্য তুলনামূলক এর মূল্য কম হয়েছে।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাবের আহমেদ বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ বৃক্ষটি কাটার জন্য অনুমতি চেয়েছে। আমি তাকে রেজুলেশন করে আনতে বলেছিলাম। আজ বৃক্ষটি কাটার সংবাদ পেয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। পরবর্তীতে সঠিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!