শেরপুরে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০ অক্টোবর রবিবার দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হলরুমে সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে ওই প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন। ওইসময় তিনি বলেন, আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে শেরপুরে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন কার্যক্রম শুরু হবে। এ কার্যক্রম চলবে ৪ সপ্তাহ ব্যাপী।
কনফারেন্সে ক্যাম্পেইন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. আহসানুল হাবিব হিমেল। তিনি বলেন, জরায়ুমুখে ক্যানসার রোধে জেলার পাঁচটি উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত এবং ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী প্রায় ৮৭ হাজার মেয়েকে এক ডোজ এইচপিভি টিকা দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিকভাবে সাধারণত নারীরা যেসকল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তার মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার চতুর্থ সর্বোচ্চ। বাংলাদেশী নারীদের ক্ষেত্রে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০২০ সালের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী প্রতিবছর বিশ্বে ৬ লক্ষাধিক নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, যার মধ্যে প্রায় তিন লক্ষ মৃত্যুবরণ করেন। এর প্রায় ৯০ শতাংশই বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল বা স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে ঘটে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী নিয়মিত পরীক্ষা (স্ক্রিনিং) এর পাশাপাশি এইচপিডি টিকাদানের মাধ্যামে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং মৃত্যু হ্রাস করা সম্ভব। নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের উপর গুরুত্বারোপ করে সরকার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে এইচপিভি টিকা সংযোজন করেছে।
প্রেস কনফারেন্সে প্রেসক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা, কার্যকরী সভাপতি রফিক মজিদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদলসহ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।