৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে শেরপুরের মাটিতে দাফন হচ্ছে না দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক সংসদ উপনেতা-মন্ত্রী ও শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের ৬ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর। দলের টানাপোড়েন আর নেতা-কর্মীদের গাঁ ঢাকার কারণে অবশেষে তার নামাজে জানাজা ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ঢাকার গুলশানের আজাদ মসজিদ অঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে।
পরে তাকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে প্রয়াত স্বামী সাংবাদিক বজলুর রহমানের কবরের পাশে দাফন করা হবে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে কবরস্থান কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পারিবারিক সূত্র। এখন পর্যন্ত তার লাশ এভারকেয়ার হাসপাতালের হিমাগারে সংরক্ষিত রয়েছে। সেখানে তাকে একনজর দেখার জন্য ভিড় করছেন রাজনীতিক ও আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন মহল।
উল্লেখ্য, ১৬ অক্টোবর বুধবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মতিয়া চৌধুরী।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ছিলেন বেগম মতিয়া চৌধুরী। ২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জরুরি অবস্থার সময় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা যখন শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে দলে ‘সংস্কারের’ দাবি তোলেন, তখন যে কজন তাঁর পাশে শক্তভাবে দাঁড়ান, তাঁদের একজন মতিয়া। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংস্কারপন্থীদের দলের নীতিনির্ধারণী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।এরপর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মতিয়া চৌধুরীর ওপর আস্থা রেখেছেন শেখ হাসিনা।
ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিডিআর বিদ্রোহের পরপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা সেনানিবাসে স্বজন ও সহকর্মী হারানো বিক্ষুব্ধ সেনাসদস্যদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তখন তার সঙ্গী ছিলেন রাজপথের সাহসী রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত মতিয়া।