ads

বুধবার , ১৬ অক্টোবর ২০২৪ | ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে নীরবেই চলে গেলেন অগ্নিকন্যা খ্যাত সাবেক সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী

স্টাফ রিপোর্টার
অক্টোবর ১৬, ২০২৪ ৩:৪১ অপরাহ্ণ

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সিনিয়র সদস্য, সাবেক সংসদ উপনেতা, সাবেক মন্ত্রী ও শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী (৮২) আর নেই। ১৬ অক্টোবর বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি……রাজিউন)। এভারকেয়ার হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ এবং সাবেক মন্ত্রী ও মতিয়া চৌধুরীর মামা মোস্তফা জামাল হায়দার তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

Shamol Bangla Ads

ঘনিষ্ঠ সূত্রের উদ্বৃতি দিয়ে নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ মতিয়া চৌধুরী সপ্তাহখানেক আগে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছিলেন। বুধবার সকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ফের তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, হাসপাতালে মতিয়া চৌধুরীর আত্মীয়-স্বজনরা রয়েছেন। তারা সিদ্ধান্ত নেবেন তার জানাজা ও দাফন কোথায় এবং কখন হবে।

এদিকে বেগম মতিয়া চৌধুরীর মৃত্যুর খবর শেরপুরসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে দলীয় অঙ্গনসহ নানা মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তার বর্ণাঢ্য জীবনের কিছু অংশ তুলে ধরা হয়েছে।

Shamol Bangla Ads

জানা যায়, অগ্নিকন্যা খ্যাত বেগম মতিয়া চৌধুরীর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে। তার বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক শেরপুরের নকলা উপজেলার গণপদ্দী এলাকার সন্তান বজলুর রহমানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মতিয়া চৌধুরী। তিনি ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। মতিয়া চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় বামপন্থী রাজনীতি দিয়ে। ১৯৬০ এর দশকে পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার যে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হয়, তাতে মতিয়া চৌধুরী সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। আইয়ুব খানের আমলে চারবার কারাবরণ করেন। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে ‘অগ্নিকন্যা’ নামে পরিচিত মতিয়া পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে (ন্যাপ) যোগ দেন এবং এর কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। ১৯৭০ ও ১৯৭১ এর মাঝামাঝি সময়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রচারণা, তদবির এবং আহতদের শুশ্রæষায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে তিনি ন্যাপের সাংগঠনিক সম্পাদক হন। এরপর ১৯৭৯ সালে ন্যাপ ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং ১৯৮৬ সালে দলের কৃষিবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পান মতিয়া চৌধুরী। এরপর থেকে তিনি আমৃত্যু দলের গুরুত্বপূর্ণ প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে ছিলেন। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময়কালে তিনি বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হন।

বেগম মতিয়া চৌধুরী তার শ্বশুরবাড়ির এলাকা শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসন থেকে ১৯৯১ সালে পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০০১ সালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক হুইপ মরহুম জাহেদ আলী চৌধুরীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। এছাড়া তিনি এই আসন থেকে সর্বশেষ ২০২৪ সালের ১২তম সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত ৬ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবং সংসদের সরকার দলীয় উপনেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৯৬, ২০০৯ ও ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মতিয়া চৌধুরী। সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের ১নং প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বহুবার গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যেতে হয়েছে মতিয়া চৌধুরীকে। জেলজীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে ‘দেয়াল দিয়ে ঘেরা’ নামে একটি বই লিখেছেন তিনি। রাজনৈতিক সহকর্মীদের কাছে সারাজীবনই সাধারণ বেশভূষা আর সাদামাটা জীবনযাপনের জন্য পরিচিত ছিলেন নিঃসন্তান মতিয়া চৌধুরী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভূমিকার জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয়।

এদিকে দলীয় ও দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক প্রভাবশালী মন্ত্রী ও নেতাদের নামে অনেক মামলা হলেও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক বেগম মতিয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি। অসীম সাহসিকতার কারণে না পালিয়ে রাজধানীর বাসাতেই জীবনের শেষ সময়গুলো কাটিয়েছেন। ওই অবস্থায় হঠাৎ নীরবেই চলে গেলেন তিনি।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!