১. ঢলে গলাগলি

গিরিখাত বেয়ে নেমে আসা জল চলনে অধীর,
স্রোতের প্রভাবে ভেঙে দিয়ে যায় সজ্জিত নীড়!
মাঠের ফসল আর ঘরবাড়ি ভাসে নিরবধি,
কোমল মাটিতে খাড়ি গড়ে নিয়ে ছুটে যায় নদী।
উঁচু থেকে আসা অভাবিত ধারা চলে যায় দূরে,
গতিবেগ নিয়ে সে জলের ধারা চলে ভেঙেচুরে।
নগরের যত অধিবাসী শুধু খাদ্যটা খোঁজে,
বেদনার ভাষা সহজে কি তারা ঠিকমতো বোঝে?
তুলসিমালার ভরা মাঠখানি ঢলে গলাগলি–
তুমি তো পায়েস-পলান্ন খাবে, নাগরিক অলি?
মধু গিলে খেয়ে প্রজাপতি হয়ে চলে যাবে উড়ে,
কৃষকের চোখে জল দেখে কবে দুটি চোখ ঝুরে?
২. ভাগ্যরেখা

কেউবা চলে চার চাকাতে
কেউবা চলে হেঁটে,
আর যে পায়ে হেঁটে চলে
নিত্য মরে খেটে।
ভাগ্যে কারো মাংস-দধি
কেউবা উপোস থাকে,
ভুল সময়ে যে খুব খাটে
মূল্য কে দেয় তাকে?
কৈশোরে যে অলস ছিল
সে খাটে শেষবেলা,
ভাগ্যে শুধু তারই জোটে
নিত্য হেলাফেলা।
কাল যে ছিল চলার সাথি
যোগ্য বলেই দূরে,
যৌবনে যে অলস ছিল
সেই তো ভবঘুরে।
ভাগ্য নিজে দেয় না ধরা
শ্রম-গুণে হয় লেখা,
কর্মটা যার অধিক ভালো
সুখ তাকে দেয় দেখা।
