৩ প্রতিষ্ঠানকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা
শেরপুর শহরের নয়ানী বাজারে চলছিলো বাজার নিয়ন্ত্রণে গঠিত বিশেষ টাস্কফোর্সের মনিটরিং। সেখানে টাস্কফোর্সের সদস্যদের প্রশ্নের জবাবে এক খুচরা বিক্রেতা আজকে কাঁচা মরিচ ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রীর কথা জানান। কিন্তু তার দোকানের দৈনিক মূল্য তালিকা বোর্ডে কাঁচা মরিচের বাজার দর লেখা না থাকায় ভোক্তা অধিকার আইনের ৩৮ ধারায় ওই দোকানীকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সেসময় ওখানে বাজার করতে আসা এক নারী ক্রেতা টাস্কফোর্সের কাছে অভিযোগ করে বলেন, পাশের এক দোকানীর নিকট থেকে তিনি ২৫০ গ্রাম মরিচ কিনেছেন যার দাম নিয়েছে ৬০ টাকা। সাথে সাথে টাস্কফোর্স সেই দোকানীর কাছে গিয়ে বেশী দামে মরিচ বিক্রীর জবাব চান। কিন্তু দোকানের মালিক ইতোমধ্যে দোকান ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। তবে সেই দোকানে বসা এক কর্মচারি ৬০ টাকায় ২৫০ গ্রাম মরিচ বিক্রীর কথা টাস্কফোর্সের নিকট স্বীকার করে ক্ষমা চায় এবং বিক্রেতা নারীকে অতিরিক্ত ১০ টাকা ফেরত দেয়। ওই দোকানীকে সতর্ক করে ভবিষ্যতে এ ধরনের অধিক মুনাফা থেকে বিরত থাকতে সচেতন করা হয়। বাজারে এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে পুরো বাজার জুড়ে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে ২০০ টাকা করে বিক্রী হতে দেখা যায়।
১৩ অক্টোবর রবিবার দুপুরে শহরের স্টেডিয়াম মার্কেটের পাইকারি আড়ত এবং নয়আনী বাজার খুচরা বাজারে ওই বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এসময় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের পাইকারী ও খুচরা বাজারের মুল্যতালিকা, ক্যাশ মেমো, মুনাফার পরিমাণ প্রভৃতি তদারক করা হয়। মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অভিযোগে মেসার্স মমিন ট্রেডার্স, রোমান এন্টারপ্রাইজ ও খালেক স্টোরকে এক হাজার করে মোট ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যসচিব ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে এ বাজার মনিটরিং পরিচালনা করা হয়। এতে সদস্য অতিরিক্ত জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলুল হক, ক্যাব সাধারণ সম্পাদক হাকিম বাবুল অংশগ্রহণ করেন এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ব্যাটালিয়ান আনসার সদস্যরা। স্থানীয় সাংবাদিকরা বাজার মনিটরিং কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন।
শেরপুর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অদিদপ্তর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আরিফুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে জেলা পর্যায়ে বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। কেউ যেন অযৌক্তিক মুনাফা করে বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়াতে না পারে সেগুলো মনিটরিং করা হয়। পাইকারি ও খুচরা এই দুই বাজারের মধ্যে দামের কিছুটা তারতম্য থাকলেও তা ছিল সন্তোষজনক। জেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে উঠলেই বাজার দর আরো অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তবে অনেক ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে বাজার মূল্য লেখা না থাকায় তাদেরকে সতর্ককরন এবং জরিমানা করা হয়েছে এ অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
