পিরোজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শেরপুরের একই পরিবারের ৪ জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ১১ অক্টোবর শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় জানাজা শেষে সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের ভীমগঞ্জ রঘুনাথপুর সামাজিক কবরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়।
জানাজায় বিপুল সংখ্যক মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন। নিহতদের মধ্যে মোতালেব হোসেন ও তার স্ত্রী সাবিনা খাতুনকে পাশাপাশি দাফন করা হয়েছে। তাদের দুই সন্তানকে একই কবরস্থানে আলাদাভাবে দাফন করা হয়েছে।
পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মোতালেব হোসেন সেনাবাহিনীতে চাকরির সুবাদে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকায় থাকতেন। গত দুইদিন আগে মোতালেব হোসেন ও তার বন্ধু শাওন তাদের স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কুয়াকাটা বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বুধবার রাতে পিরোজপুর নাজিরপুর সড়কের নূরানী গেট এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকারটি একটি খালে পড়ে নিহত হন দুই পরিবারের ৮ জন। নিহতরা হলেন সেনাবাহিনীর বেসামরিক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী শেরপুর সদর উপজেলার ভীমগঞ্জ রঘুনাথপুর গ্রামের নাজির উদ্দিনের ছেলে মো. মোতালেব হোসেন (৩৮), তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন (৩০), মেয়ে মুক্তা (১২) ও ছেলে শিশু সোয়াইব (৪)। এছাড়া অন্য নিহতরা হলেন পিরোজপুরের নাজিরপুরের হোগাবুনিয়া এলাকার মৃত আসাদ মৃধার ছেলে শাওন (৩২), তার স্ত্রী আমেনা বেগম (২৫), তার ছেলে শাহাদাত (১০) ও আব্দুল্লাহ (৩)।
এদিকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা মোতালেবের বৃদ্ধ বাবা-মা ও একমাত্র বোন। স্থানীয়রা জানান, হতদরিদ্র নাজির উদ্দিনের (৮০) দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে মোতালেব ছোট। আগে আউটসোর্সিংয়ের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে ছিলেন মোতালেব। বছর তিনেক আগে তার চাকরি সরকারি হয়। সামান্য বসতভিটার জমি ছাড়া তাদের আর কোনো সম্পত্তি নেই। মোতালেবই সংসারের খরচ চালাতো। মোতালেবের স্ত্রী-সন্তানসহ মৃত্যু হওয়ায় এখন খরচ চালানোই দায় হয়ে যাবে পরিবারটির।