ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন এই দেশের মধ্যে অন্যায় বিলুপ্ত হবে, আর ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারে ঘোষিত ৯ দফা প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে শেরপুর জেলা শহরের থানা মোড়ে জেলা ইসলামী আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওই কথা বলেন।

ওইসময় তিনি বলেন, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পর যখন প্রশাসনিক কাঠামো এক পর্যায়ে ভেঙে পড়েছিল, তখন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেছে, মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করেছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় আমাদের নেতা-কর্মীরা জানমাল উজাড় করে কাজ করেছে, মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। যখন আমরা মন্দির পাহারায় ব্যস্ত, রাস্তায় মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যস্ত, তখন এক শ্রেণির মানুষ-লুটেরা লুটপাটে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর বয়সে আমরা বার বার সরকার পরিবর্তন দেখেছি, কিন্তু আমাদের বাংলাদেশ চোরের দিক দিয়ে বার বার প্রথম হয়েছে। এই অবস্থার পরিবর্তন আমাদেরকেই করতে হবে। দুনিয়াতে শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির একমাত্র নীতি-আদর্শ হলো ইসলাম। আপনাদের দোয়ায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কোন কলঙ্কের দাগ লাগে নাই।

সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী। জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি হাফেজ মাওলানা ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুফতী ফখরুদ্দীন রাজীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামালপুর জেলা জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি হযরত মাওলানা আবুল কাশেম, শেরপুর জেলা জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি মুফতী আবু তালেব মো. সাইফুদ্দীন, জেলা ইসলামী আন্দোলনের উপদেষ্টা হযরত মাওলানা আজিজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ও হযরত মাওলানা মো. মিরাজ উদ্দিন।
ওইসময় ইসলামী আন্দোলন ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
