ads

মঙ্গলবার , ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

মানহানির ৫ মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪ ১২:৪১ অপরাহ্ণ

বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মানহানির পাঁচ মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন আদালত। জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকীর করা ‘ভুয়া’ জন্মদিন পালন ও মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগে মামলাসহ মানহানির পাঁচ মামলায় খালাসের এ রায় দিয়েছেন আদালত। ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পৃথক দুই ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে এসব মামলায় খালাস দেন। এর মধ্যে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত চারটি এবং অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত একটি মামলায় খালাস দেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বিষয়টি জানিয়েছেন।

Shamol Bangla Ads

জানা যায়, এদিন মামলাগুলো শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারিত ছিল। তবে মামলার বাদীরা আদালতে হাজির হননি। একাধিক মামলার বাদী এবি সিদ্দিক মারা গেছেন। এ অবস্থায় খালেদা জিয়াকে মামলা থেকে খালাসের আবেদন করেন তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ। পরে আদালত তাকে মামলাগুলো থেকে খালাস দেন।

মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগে করা মামলার বিবরণীতে বলা হয়, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের সঙ্গে জোট করে নির্বাচিত হয়ে সরকারের দায়িত্ব নেন খালেদা জিয়া। তিনি রাজাকার-আলবদর নেতাদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে তাদের বাড়ি-গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তুলে দেন।

Shamol Bangla Ads

২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির এ মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। আদালত ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। পরের বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক মশিউর রহমান (তদন্ত) অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলার অন্য আসামি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মৃত মর্মে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

অন্যদিকে ‘ভুয়া’ জন্মদিন পালনের অভিযোগের মামলায় বলা হয়, খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালে দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসএসসি পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জন্মতারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর।

১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন ১৯৪৫ সালের ১৯ আগস্ট লেখা হয়। আর বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন উল্লেখ করা হয় ১৯৪৪ সালের ৪ আগস্ট। সর্বশেষ ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী খালেদা জিয়ার জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৫ আগস্ট।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে তার পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিনের তথ্য পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় তিনি পাঁচটি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর দিন জাতীয় শোক দিবসে (১৫ আগস্ট) আনন্দ-উৎসব করে কেক কেটে জন্মদিন পালন করে আসছেন। ‘ভুয়া’ জন্মদিন পালনের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই এ দুই মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!